ঢাকায় করোনায় মায়ের মৃত্যু, বুড়িচংয়ে ২টি বাড়ি লকডাউন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা
প্রকাশিত: ০১:৫৩ পিএম, ০৭ এপ্রিল ২০২০

করোনা সন্দেহে জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের ২টি বাড়ি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে জিয়াপুর গ্রামের এক ব্যবসায়ী ও তার ভাইয়ের বাড়ি লকডাইন করেন।

এর আগে গত রোববার রাত ১১টার দিকে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ওই ব্যবসায়ীর মায়ের (৬৫) মৃত্যু হয়। পরে সোমবার ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিয়ে বুড়িচংয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান।

Comilla-lockdown-house-pic-

তিনি আরও জানান, ওই ব্যবসায়ী পরিবার নিয়ে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। তার মায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত রোববার প্রথমে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল পরে রাতে ঢাকার কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃতের শরীর থেকে নেয়া আলামত পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল এসেছে। মায়ের মৃত্যুর পর সোমবার তিনি পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কমকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানান, আমরা খবর পেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই গ্রামে এসে ঢাকা থেকে আসা ব্যবসায়ীসহ তার পরিবারের ৫ সদস্যের শরীরের আলামত সংগ্রহ করে আইইডিসার-এ পাঠিয়েছি। বুধবার তার ভাইয়ের পরিবারের সদস্যদের শরীরের আলামত সংগ্রহ করা হবে। পরে ওই ব্যববসায়ী ও তার ভাইয়ের দুটি বাড়ি লকডাউন করা হয়।

Comilla-lockdown-house-pic-

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইমরুল হাসান, থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক, দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন ও স্থানীয় ইউপি লালন হায়দার উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক পিপিএম জানান, যতদিন ওই ২টি বাড়িতে লকডাইন থাকবে ততদিন থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ২টি বাড়িতে প্রয়োজনীয় খাদ্য-সামগ্রী সরবরাহ করা হবে।

কামাল উদ্দিন/এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।