খাবারের জন্য হোটেল শ্রমিকদের অবস্থান, ইউএনওর কাছে আবেদন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি লালমনিরহাট
প্রকাশিত: ০৪:৪৮ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া হোটেল শ্রমিকরা আর্থিক সহযোগিতা ও খাদ্য সামগ্রীর জন্য লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা পরিষদে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। বুধবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে কর্মহীন হয়ে পড়া শতাধিক হোটেল শ্রমিক অবস্থান নেন।

পরে হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি শ্রী সুধা বর্মন রায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর আর্থিক সাহায্যের জন্য নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারীর হাতে একটি আবেদন প্রদান করেন।

জানা গেছে, ২০ দিন ধরে গোটা উপজেলায় প্রায় ৩০০ জন হোটেল শ্রমিক কর্মহীন। হোটেলে দিনমজুরি করে জীবিকা নির্বাহ করেন তারা। বর্তমানে করোনাভাইরাসের কারণে সকল হোটেল বন্ধ । ফলে পরিবারের খাদ্য যোগাতে তারা হিমশিম খাচ্ছেন এবং বাবা-মা, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। আর্থিক সাহায্য ও খাদ্য সামগ্রীর জন্য উপজেলা পরিষদ চত্বরে হোটেল শ্রমিকরা অবস্থান নেন।

Lalmonirhat-Hotel-Lebar-1

হাতীবান্ধা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি শ্রী সুধা বর্মন রায় বলেন, গোটা উপজেলায় প্রায় ৩০০ জন হোটেল শ্রমিক রয়েছেন। তারা এখন সবাই কর্মহীন। ২০ থেকে ২৫ দিন ধরে বাড়িতে বসে রয়েছেন। এখন উপায় না পেয়ে আমরা সবাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছি। এছাড়া এর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আসলে তিনি স্ব-স্ব ইউনিয়ন পরিষদে যোগাযোগ করতে বলেন। সেখানে হাতে গোনা কয়েকজনকে চাল, ডাল দেয়া হয়। আর কোনো সাহায্য আমরা পাইনি।

হোটেল শ্রমিক লিটন, সাদেকুল ইসলাম, দুলাল, কেরামত ও সারবানু বলেন, হোটেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর কয়েক দিন জমানো কিছু টাকা দিয়ে চলেছি। পরে ধার দেনা করে কিছু খরচ করি। এখন আমাদের পরিবারে ৫-৭ জন সদস্য। তাদের খরচ চালাতে হিমশিম খাচ্ছি। কোনো টাকা-পয়সা নেই। এভাবে চলতে থাকলে না খেয়ে মরতে হবে।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সামিউল আমিন বলেন, আমি বাইরে কাজে আছি। শ্রমিকরা অফিসে একটি আবেদন দিয়েছে বলে এক কর্মচারী জানিয়েছেন। আমি অফিসে গিয়ে বিষয়টি দেখবো।

রবিউল হাসান/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।