দাদির মৃত্যুর পর এবার করোনা আক্রান্ত দুই নাতি
ঢাকায় করোনায় ব্যবসায়ীর মায়ের মৃত্যুর পর জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে মৃতের সন্তানদের ২টি বাড়ি করোনা সন্দেহে লকডাউন করে স্থানীয় প্রশাসন। ওই বাড়িতে অবস্থান করা মৃতের আত্বীয়-স্বজনদের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছিল ঢাকায়। বৃহস্পতিবার আইইডিসিআর থেকে প্রাপ্ত ফলাফলে ওই বাড়ির ২ শিশুর (মৃতের নাতি) শরীরে করোনার ফলাফল পজিটিভ এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান।
তিনি আরও জানান, জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা পরিবার নিয়ে ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় বসবাস করেন। তার মায়ের করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় গত রোববার প্রথমে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতাল ও পরে একই রাতে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ১১টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মৃতের শরীর থেকে নেয়া আলামত পরীক্ষায় পজিটিভ ফলাফল এসেছিল।
এদিকে মায়ের মৃত্যুর পর গত সোমবার মোস্তফা পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে আসেন। খবর পেয়ে আমরা ওই ব্যবসায়ী ও তার ভাইয়ের দুটি বাড়ি লকডাউন করি। এখন যেহেতু করোনা পজিটিভ এসেছে তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত লকডাউন অব্যাহত থাকবে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর হোসেন মিঠু জানান, লকডাউন করা বাড়িতে ৪ এবং ৭ বছর বয়সী দুই শিশুর করোনা পজিটিভ ফলাফল এসেছে। আপাতত বাড়িতে রেখেইে স্বাস্থ্য বিভাগের ডিজির নিদের্শনা মোতাবেক তাদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে আরও ২ দফায় তাদের নমুনা সংগ্রহ করার পর রিপোর্টের পরবর্তী ফলাফল অনুসারে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কামাল উদ্দিন/এফএ/জেআইএম