ঠাকুরগাঁওয়ে ডিলারের গোডাউন থেকে ৬৩০ বস্তা চাল জব্দ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঠাকুরগাঁও
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০২০

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় হতদরিদ্র্যের ১০ টাকা কেজির ৬৩০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন। এ ঘটনায় দুইজনকে আটকসহ পাঁচটি গোডাউন সিলগালা করা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নে পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয় বলে জানান বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন।

আটকরা হলেন, উপজেলার পারুয়া গ্রামের কুশলডাঙ্গী বাজার এলাকার প্রয়াত ইউসুফ আলীর ছেলে চাল ডিলারের ভাই জামিরুল ইসলাম (৪৫) ও আমজানখোর ইউনিয়নের রতনাই গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে নসিমন চালক পান্না কাওসার (৩০)।

অভিযুক্ত আমিরুল ইসলাম ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার ও তার স্ত্রী কুলসুম আক্তার বড় পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য। তার আরেক ভাই জামিরুলও ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার।

jagonews24

পারুয়া গ্রামের বাসিন্দা বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা যুবলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনিরুজ্জামান মুকুল বলেন, ফজরের নামাজ পড়ার জন্য ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদের পথে রওনা হই। এসময় দেখতে পাই ২টি অটোচার্জার ভ্যান ও একটি নসিমনে করে হতদরিদ্র্যের ১০ টাকা কেজির চাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কুশলডাঙ্গী বাজারে।

তিনি বলেন, ওই দুটি অটোচার্জার ও একটি নসিমনকে আটক করা হয় এবং হটলাইন নম্বর ৯৯৯ কল করে বিষয়টি জানানো হয়। এর আগেই ২ জন অটোচার্জারের ভ্যানচালক পালিয়ে যায় এবং নসিমন চালককে আটক করে রাখা হয়।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন ঘটনাস্থলে এসে নসিমন চালক পান্না কাওসারকে আটক করে এবং ২টি অটোচার্জার ও নসিমন গাড়ি থেকে ১০ টাকা কেজির ৬৮ বস্তা চাল উদ্ধার করে।

ইউএনও খায়রুল আলম সুমন বলেন, আটক নসিমন চালকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি চালের ডিলার আমিরুল ইসলামের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তার নিজস্ব মেসার্স ভাই ভাই হাস্কিং মিলের ১টি গোডাউন থেকে ১০ টাকা কেজির ৫৬২ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।

পরে মেসার্স ভাই ভাই হাস্কিং মিলের গোডাউনসহ আরও ৪টি গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয় এবং চাল ডিলারের ভাই জামিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।

অভিযান পরিচালনার সময় ১০ টাকা কেজির চাল ডিলার আমিরুল ইসলাম, তার স্ত্রী নারী ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারসহ অন্যদের নিয়ে পালিয়ে যায়।

নির্বাহী কর্মকর্তা খায়রুল আলম সুমন বলেন, উদ্ধারকৃত ৬৩০ বস্তা চাল থানায় রাখা হয়েছে। হতদরিদ্র্যের চাল কেন মজুদ করা হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। সেই সঙ্গে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে।

অভিযুক্ত চালের ডিলার আমিরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারী ইউপি সদস্য কুলসুম আক্তারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

আরএআর/এমএএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।