কিশোরগঞ্জের সেই হাসপাতাল লকডাউন
দুই চিকিৎসক করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবার লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য হাসপাতালটি লকডাউন ঘোষণা করেন করিমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা নূর হোসেন।
এর আগে সোমবার নমুনা পরীক্ষা করে করিমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসকের শরীরে করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। তখন ওই হাসপাতালের সব চিকিৎসককে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়। এতে চিকিৎসকশূন্য হয়ে পড়ে হাসপাতালটি।
এরপরই আজ সকাল থেকে হাসপাতালটি লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে এ হাসপাতালের সব চিকিৎসক, নার্স ও কর্মচারি কোয়ারেন্টাইনে আছেন। কিশোরগঞ্জে এ পর্যন্ত ১৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে একজনের।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, করোনার লক্ষণ দেখা দেয়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ১১ এপ্রিল পর্যন্ত ২২৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫ জনের দেহে করোনা ভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ৬ এপ্রিল করিমগঞ্জে একজন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন তার মা, ভাই, বোনসহ করিমগঞ্জ হাসপাতালের দুই ডাক্তার।
আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৪ জন। একই হাসপাতালে আরও ৪ জন ভর্তি আছেন উপসর্গ নিয়ে। ঢাকার কুয়েত মৈত্রি হাসপাতলে ২ জন এবং কুর্মিটোলা হাসপাতালে একজন ভর্তি আছেন। অপর ৭ জন বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
নূর মোহাম্মদ/এফএ/এমএস