ফেনীতে করোনায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যাই বেশি
ফেনীতে করোনাভাইরাসে আক্রন্তদের মধ্যে নারী সংখ্যাই বেশি। স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, বুধবার (৬ মে) পর্যন্ত জেলায় সাতজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জনই নারী।
ফেনী স্বাস্থ্য বিভাগের করোনা নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সমন্বয়ক ডা. সরফুদ্দিন জানান, বুধবার ফেনীতে তিন নারীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন কিশোরী ও একজন নারী জনপ্রতিনিধি। এদের মধ্যে ছাগলনাইয়া উপজেলার গোপল এলাকার নানা বাড়িতে থেকে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মিরসরাই উপজেলার করেরহাটের ১৩ বছরের এক কিশোরী। ৪ মে তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে পাঠানো হয়। পরে বুধবার তার করোনা প্রজেটিভ আসে।
ওই দিন করোনা পজিটিভ আসে ১৭ বছরের আরেক কিশোরীর। ফুলগাজী উপজেলার বরইয়া এলাকার ওই কিশোরী জ্বর নিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এলে তার নমুনা সংগ্রহ করে ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। বুধবার তারও করোনা প্রজেটিভ আসে।
একই দিন উপজেলা পর্যায়ের এক নারী জনপ্রতিনিধি (৪০) করোনায় আক্রান্ত হন। গত ৩ মে ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার রাতে চট্টগ্রামের ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তিনি জায়লস্কও ইউনিয়নের নুরুল্লাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
এছাড়াও দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের উত্তর আলামপুরের ঢাকাফেরত আরও এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২২ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামে পাঠানো হলে ২৯ এপ্রিল তার করোনা পজিটিভ আসে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, জেলায় এ পর্যন্ত ৪৯৫ জনের করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে বিআইটিআইডি ও ভেটেরিনারি থেকে এখন পর্যন্ত ৩০৬ জনের নমুনা প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে সাতজনের পজিটিভ ও অন্যদের নেগেটিভ প্রতিবেদন আসে।
করোনা আক্রান্ত এই সাতজন ফেনীর চার উপজেলায়। এর মধ্যে ছাগলনাইয়ায় দুইজন, দাগরভূঞায় তিনজন, সোনাগাজীতে একজন ও ফুলগাজীতে একজনের শরীরে এ ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ফেনী সদর ও পরশুরামে এখনো করোনা ছোবল দিতে পারেনি।
এদিকে বুধবার সকালে ফেনী ট্রমা সেন্টার থেকে করোনা আক্রান্ত সোনাগাজীর এক যুবক ও ছাগলনাইয়ার এক যুবক ছাড়পত্র পেয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে তাদের ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
রাশেদুল হাসান/এমএফ/বিএ