ফুল হাতে হাসপাতাল ছাড়লেন ভৈরবের ২১ করোনাজয়ী
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসা নিয়ে ২১ করোনা রোগী সুস্থ হয়েছেন। ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে তারা ১৬ দিন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। বুধবার রাতে তাদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এলে বৃহস্পতিবার সকালে ছাড়পত্র দেয়া হয়।
এসব করোনাজয়ীকে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ মো. সায়দুল্লাহ মিয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহেমদ।
ছাড়পত্র প্রাপ্তদের মধ্যে চারজন ডাক্তারসহ ১৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী, একজন এসিল্যান্ড, একজন ইউএনওর বাসার কাজের মেয়ে ও একজন ড্রাইভার রয়েছেন।
গত ১৯ ও ২০ এপ্রিল তাদের করোনায় আক্রান্তের রিপোর্ট আসে। পরে এসিল্যান্ড হোম কোয়ারেন্টাইনে এবং বাকি ২০ জন ট্রমা সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। গতকাল তাদের সবার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।
এর আগে গত ৪ মে ট্রমা সেন্টার থেকে ১১ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন। ভৈরবে এ পর্যন্ত ৪৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ঢাকার কুর্মিটোলা হাসপাতাল থেকে একজন পুলিশসহ দুজন ও কিশোরগঞ্জের সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ থেকে দুজন পুলিশসহ পাঁচজন চিকিৎসা নিয়ে করোনা মুক্ত হন। সব মিলিয়ে ভৈরবে আক্রান্তের মধ্যে ৩৯ জন করোনায় সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, করোনা রোগীদের অবহেলা নয়। তারা আমাদেরই ভাই-বোন বা সহকর্মী। কেউ কেউ পুলিশ সদস্য। তাদের উৎসাহ দিতেই আজ সবাইকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানাই। এসময় ২১ জনকে উপহার হিসেবে একটি করে খাবারের প্যাকেট দেয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, করোনাকে ভয় নয়, মনকে শক্ত করে মোকাবিলা করতে হবে। সবাই সচেতন হলে করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে না বলে তিনি জানান।
আসাদুজ্জামান ফারুক/এফএ/পিআর