নৌ পথে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বাড়ছেই
করোনাভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যেও কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌ পথে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ দিন দিন বেড়েই চলছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ যেমন ঢাকায় যাচ্ছে তেমনি ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে ফিরতে শুরু করেছেন অনেকে। লঞ্চ-স্পিডবোট বন্ধ থাকায় বাড়তি চাপ বেড়েছে ফেরিতে। ফেরিগুলো যানবাহন পারাপারের পাশাপাশি যাত্রী পারাপারে হিমশিম খাচ্ছে।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্রে জানা যায়, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ থেকেই ঘাট দিয়ে মানুষ যেমনি ঢাকা যাচ্ছে তেমনি বাড়িতেও ফিরছে। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া ঘাটে। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় নদী পারাপারের প্রতিযোগিতা। ঘাটে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় দেখে মনে হয় করোনা বলে কিছুই নেই।
শনিবার (৯ মে) সকালে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী লঞ্চ ও স্পিডবোট বন্ধ থাকলেও ফেরিযোগে নদী পারি দিচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ।
কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, গত কয়েকদিন ধরেই ৯/১০টি ফেরিতে যানবাহন পার করা হচ্ছে। বিভিন্ন জেলা থেকে বিকল্পভাবে ভেঙে ভেঙে ঘাটে এসে ফেরিতে করে ঢাকামুখী যাত্রীরা নদী পার হচ্ছে। তবে যাত্রীদের সঙ্গে প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি সেবাদানকারী যানবাহনও পার করা হচ্ছে।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী সোহেল আহমেদ জানান, করোনার মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বরিশাল থেকে ভেঙে ভেঙে ঘাট পর্যন্ত এসেছি। এখানে আসতে মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহনে ১৩শ টাকা খরচ হয়েছে। তবুও চাকরি বাঁচাতে ঢাকা যেতে হবে।
বিআইডব্লিউটিসির কাঁঠালবাড়ী ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক সামসুল আরেফিন বলেন, সকাল থেকেই ঢাকামুখী যাত্রীর অতিরিক্ত চাপ রয়েছে। আজ সাতটি ফেরি দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে। ১৭টি ফেরির মধ্য তিনটি রোরো, তিনটি ডাম্ব, তিনটি কে টাইপ ও একটি মধ্যম ফেরীর মাধ্যমে যাত্রী ও যানবাহন পার করা হচ্ছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/আরএআর/পিআর