ব্যাংক কর্মকর্তার সংস্পর্শে এসে ৬ জন করোনায় আক্রান্ত
জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি খোশলাপাড়া গ্রামের এক করোনা রোগীর সংস্পর্শে আসা তার পরিবারের ৩ জন ও পাশের বাড়ির ৩ জনসহ মোট ৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়াও ওই উপজেলায় আরও ৪ জন, সদর উপজেলায় ৬, ক্ষেতলাল উপজেলায় ৯, কালাই উপজেলায় ১, পাঁচবিবি উপজেলায় ২ জনসহ জেলায় এই প্রথম সর্বোচ্চ ২৮ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে এ জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪ জনে।
রাজশাহী বিভাগের মধ্যে সর্বোচ্চ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হলো এই জেলা। জেলায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ জন করোনা রোগী।
সোমবার সকালে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবেরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার থেকে পাঠানো রিপোর্টে ২৮ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা।
করোনা আক্রান্তরা হলেন- সদর উপজেলার ভাদসার বিলাসবাড়ী গ্রামের ১ জন, ধারকী হাজীপাড়ার ২ জন, হিচমীর ১ জন, পৌর এলাকা শান্তিনগরের করোনা রোগীর স্ত্রীসহ ৬ জন, ক্ষেতলাল উপজেলার ধনকুড়াইল গ্রামের ১ জন, তেলিহার, শালবনের ২ জন, শাখারঞ্জুরের ১ জন, নোয়াপাড়ার ১ জন, রামপুড়া চৌধুরীপাড়ার ২ জনসহ ৯ জন, আক্কেলপুর উপজেলার রায়কালি খোশলাপাড়া গ্রামের ৬ জন, মানিকপাড়ার ১ জন, আবাদপুরের ১ জনসহ ১০ জন, পাঁচবিবি উপজেলার আটুল ও সিধুইলের ১ জন ও কালাই উপজেলার ১ জন।
রায়কালি খোশলাপাড়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য অশোক কুমার সাহা বলেন, ব্যাংকে চাকরিরত এক করোনা রোগীর মাধ্যমে তার পরিবার ও পাশের বাড়ির ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। ওই রোগী গোপীনাথপুর আইসোলেশন ইউনিটে আছেন। আমারসহ ওই গ্রামের ১৭ জনের পরীক্ষা করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ জনের নেগেটিভ এলেও ৬ জনের পজিটিভ এসেছে। ওই পরিবারের সবাই হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন।
জয়পুরহাট সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা জানান, আক্রান্তরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ল্যাবেরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে পাঠানো হলে রিপোর্টে ৫৫৩ জনের মধ্যে ২৮ জনের পজিটিভ আসে। তাদের সকলকে আক্কেলপুর উপজেলার গোপীনাথপুর অব হেলথ টেকনোলজির আইসোলেশন ইউনিটে (সেফ অতিথিশালা) পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
রাশেদুজ্জামান/এফএ/এমএস