সড়কে পড়ে থাকা নারীকে হাসপাতালে নিলেন ওসি
মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য— কথাটা যে সত্য তার প্রমাণ দিলেন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান। শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার একটি সড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে ছিলেন এক নারী। করোনা সন্দেহে কেউ যখন তাকে উদ্ধারে এগিয়ে যাননি ঠিক তখন নড়িয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই নারীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
বুধবার (২০ মে) বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার ভূমখাড়া ইউনিয়নের নয়াকান্দি (নড়িয়া-ঘড়িসার) সড়ক থেকে ওই নারীকে উদ্ধার করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালে অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারীর চিকিৎসা চলছে।
নড়িয়া থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বুধবার দুপুর ১টার দিকে নড়িয়া উপজেলার নয়াকান্দি (নড়িয়া-ঘড়িসার) সড়কের পাশে এক নারীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কিন্তু করোনাভাইরাসের রোগী ভেবে কেউ তার কাছে যাননি। তাকে উদ্ধারও করেননি। দুই ঘণ্টা পর বিষয়টি জানতে পেরে নড়িয়া থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসে ওই নারীকে উদ্ধার করেন এবং নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
ওই নারীর সঙ্গে থাকা জন্মনিবন্ধন থেকে জানা যায়, তিনি উপজেলার ডিঙ্গামানিক ইউনিয়নের কাঠহুগলি গ্রামের কালাচাঁন খাঁর মেয়ে সারমিন আক্তার। বয়স ২২ বছর।
ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, আজ বিকেল ৩টার দিকে এক ব্যক্তি মুঠোফোনে জানান, নড়িয়া-ঘড়িসার সড়কে এক নারী মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। ঘটনাটি শুনে থানার তদন্ত ওসি প্রবীণ কুমার চক্রবর্তী, এসআই মামুন খান ও কনস্টেবল তামিমকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি ওই নারী মারা জাননি। অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। ভাবলাম তাকে বাঁচাতে হবে। তাই নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলামকে বলে হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।
ওই নারীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
নড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শফিকুল ইসলাম বলেন, ওই নারীকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার প্রেশার ও ডায়াবেটিস সহনীয় পর্যায়ে আছে। অন্যান্য পরীক্ষা চলছে। তবে জ্ঞান এখনও ফেরেনি।
মো. ছগির হোসেন/এমএআর/এমএস