জয়পুরহাটে হেলে পড়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমির ধান গাছ
ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে জয়পুরহাটে উৎপাদিত প্রায় ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমির বোরো ধানের মধ্যে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির পাকা ও আধাপাকা ধান হেলে পড়াসহ বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ধান কাটা শুরু হয়ে জেলায় এ পর্যন্ত প্রায় ৩৮ শতাংশ ধান কাটা হয়েছে।
জয়পুরহাট কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক স. ম. মেফতাহুল বারি বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে ধানের সেরকম কোনো ক্ষতি হয়নি। তবে ধান কেটে ঘরে তোলা আমাদের এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ জেলায় চলতি মৌসুমে ৬৯ হাজার ৪২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। তার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে প্রায় ১১ হাজার হেক্টর জমির পাকা এবং আধাপাকা ধান হেলে পড়েছে। এ বছর জেলায় ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৮১ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি আরও বলেন, জেলায় আমের বাগান না থাকায় সঠিকভাবে সেটির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বলা যাচ্ছে না। তবে বাসাবাড়িতে অল্প পরিসরে আম গাছ রয়েছে। আমের বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে শাকসবজির একটু ক্ষতি হলেও তার পরিমাণ বেশি না। শাকসবজির গাছের ডগা ভেঙে গেছে। কিছু সবজির গাছ নষ্ট হয়েছে।
এদিকে বুধবার (২০ মে) সন্ধ্যা থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের প্রভাবে জেলায় ঝড় ও থেমে থেমে বৃষ্টি শুরু হয়। রাতে ঝড়বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। সারারাত বন্ধ থাকে বিদ্যুৎ সংযোগ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আবার বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করে দেয়া হয়। ঝড়বৃষ্টি জেলার কিছু কিছু জায়গায় গাছ ভেঙে পড়েছে। আর মাঠে পাকা ও আধাপাকা ধানের গাছ হেলে পড়েছে। তবে জেলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গেছে।
রাশেদুজ্জামান/আরএআর/এমকেএইচ