করোনা আক্রান্ত দম্পতির জায়গা হলো মুরগির খামারে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:২০ এএম, ৩০ মে ২০২০

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এক দম্পতিকে গ্রাম ছাড়া করেছেন সৎমাসহ স্থানীয়রা। আর গ্রামে জায়গা না হওয়ায় তাদের আশ্রয় হয়েছে পাশের ইউনিয়নের একটি মুরগির খামারে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের চাঁদশিকারী গ্রামে।

করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি জানান, গত ২১ মে তারা স্বামী-স্ত্রী গাজীপুর থেকে নিজ গ্রাম শিবগঞ্জ উপজেলার চাঁদশিকারী গ্রামে আসেন। এ সময় তাদের বাড়িতে জায়গা দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন তার সৎ মা। পরে বিনোদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হককে বিষয়টি জানালে চেয়ারম্যান সমাধান করতে ব্যর্থ হন। তারা নিজ গ্রামে আশ্রয় না পেয়ে পাশের গ্রাম শ্যামপুরের বাবুপুরে শ্বশুরবাড়িতে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে সেখানেও গ্রামবাসীদের বাধার সম্মুখীন হন তারা। পরে আক্রান্ত ব্যক্তির শ্বশুরবাড়ির লোকজন পাশের একটি মুরগির খামারে তাদের থাকার ব্যবস্থা করেন।

এদিকে গত ২৩ মে নমুনা সংগ্রহের পর তাদের স্বামী-স্ত্রীর নমুনায় করোনা পজিটিভ রির্পোট আসলে তাদের আশ্রয়স্থলটি লকডাউন করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। এ ঘটনায় তারা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন। উপজেলা প্রশাসন, শ্যামপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ওই দম্পতিকে কিছু উপহার সামগ্রী পাঠিয়েছে।

বিনোদপুর এলাকার সেলিম হোসেন জানান, আক্রান্তরা গাজীপুরফেরত হওয়ায় নমুনা পরীক্ষার আগেই স্থানীয়রা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবার তাদের গ্রামে থাকতে না দেয়ার বিষয়টি জানিয়ে দেয়। এতে বাধ্য হয়ে তারা মুরগির খামারে আশ্রয় নেন।

আক্রান্তদের দেখভালের দায়িত্বে থাকা গ্রাম পুলিশ সেলিম জানান, আক্রান্তদের থাকার জায়গা মুরগির খামারটি লকডাউন করা হয়েছে। এরপরও স্থানীয়রা আক্রান্তদের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারে স্থানান্তরের জন্য বলছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী বলেন, আমি করোনা আক্রান্তদের প্রতি স্থানীয়দের ক্ষোভের বিষয়টি শুনেছি। বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের নিয়মিত পরামর্শ ও চিকিৎসা দিচ্ছে।

মোহা. আব্দুল্লাহ/আরএআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।