চাঁদপুরে একদিনে তিনজনের মৃত্যু
চাঁদপুরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনার উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর শহরের ট্রাক রোড এলাকায় আবুল খায়ের মিজি (৫২), চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল হাসনাত খান (৫৫) মারা যান। পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের মোসলেম উদ্দিনের (৬০) মৃত্যু হয়।
এদিকে, চাঁদপুরে নতুন করে আরও ১৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৮০ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৪ জনে দাঁড়াল।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন বলেন, শুক্রবার গভীর রাতে শহরের নিউ ট্রাক রোডের বটতলা এলাকার কাজি অফিস সংলগ্ন চারতলা ভবনে এক ব্যক্তি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান। তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আবুল হাসনাত খান। শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে আনার একঘণ্টা পর তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। শনিবার নিজ বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রাজাপুর গ্রামে বিশেষ ব্যবস্থায় তাকে দাফন করা হয়েছে।
মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুশরাত জাহান মিথেন বলেন, মতলব উত্তর উপজেলার সুলতানাবাদ ইউনিয়নের ফরিদকান্দি গ্রামের মোসলেম উদ্দিন করোনায় মারা গেছেন। শুক্রবার রাতে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান। সাতদিন আগে তিনি নমুনা দেন ঢাকায়। তার একদিন পর করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে তার।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, কোনো ব্যক্তির করোনা উপসর্গ দেখা দিলে চিকিৎসা না নিয়ে বাড়িতে থাকা খুবই দুঃখজনক। কারণ আমরা তাদের চিকিৎসা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছি না। তারা শেষ মুহূর্তে হাসপাতালে এসে মারা যান। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া খুবই জরুরি।
ইকরাম চৌধুরী/এএম/এমকেএইচ