টাঙ্গাইলের ৬৬৬ করোনা রিপোর্ট আটকে আছে ঢাকায়
এখনও টাঙ্গাইলের ৬৬৬টি করোনা নমুনার ফল আটকে আছে ঢাকায়। সর্বশেষ ২৮ মে এ জেলার নমুনার ফল হাতে পেয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। গত পাঁচদিনের ফল প্রাপ্তির এ বিড়ম্বনায় যেমন বিব্রত জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ তেমনি হতাশ সাধারণ মানুষ।
টাঙ্গাইল সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ গত ২৮ মে বৃহস্পতিবার ২২৭ জনের জনের নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে রোববার মধ্যরাতে নমুনার ফলাফল আসে। এতে নতুন করে ১৯ জন শনাক্ত হওয়ার তথ্য আসে। এরপর গত ২৯ মের ৭৯টি, ৩০ মের ৭৮টি, ৩১ মের ১৪৯টি, ১ জুনের ১৪৮টি আর ২ জুনের ২১৩টি নমুনার ফলাফল এখনও পাওয়া যায়নি।
সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জেলা হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব না থাকায় স্বাস্থ্য বিভাগকে ঢাকার ধরণা ধরতে হচ্ছে। এ কারণে নমুনা দিয়ে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে তাদের। এতে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। বাড়ছে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধির শঙ্কা। ঢাকায় গুরুত্ব না দেয়ায় দীর্ঘ পাঁচ-ছয়দিন করে আটকে থাকছে এ জেলার করোনার ফলাফল। এমনটাই অভিযোগ তাদের। প্রায় ৪৫ লাখ মানুষের ঘনবসতিপূর্ণ এ জেলাবাসীর জনস্বার্থে অদ্যাবধিও টাঙ্গাইলে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা।
এ নিয়ে পৌর শহরের নজরুল, তোফাজ্জল, মানিকসহ একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, এ জেলায় প্রধানমন্ত্রীর নামকরণে প্রতিষ্ঠিত শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজসহ সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মতো গুরুত্বপূর্ণ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান থাকা সত্ত্বেও আজও একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপন হয়নি। এটি দুঃখজনক। এ ব্যর্থতা জেলা স্বাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দের। তাদের ব্যর্থতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় ল্যাব স্থাপন সম্ভব হলেও টাঙ্গাইলে হয়নি। যার দায় টানছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। দ্রুত ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন তারা।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি পিসিআর ল্যাব স্থাপনের কাজ শেষ হচ্ছে। ল্যাব স্থাপনের পরে প্রতিদিন দুই সিফটে দুই শতাধিক করে নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে এ হাসপাতালে।
পাঁচ-ছয়দিন পর ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার ফল আসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকায় প্রচুর চাপ থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। টাঙ্গাইলে ল্যাব স্থাপনের পর বেশি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে এবং ফলাফল দ্রুত পাওয়া যাবে।
এফএ/পিআর