এবার কঠোর লকডাউন, তাই দুদিন সময় চায় সিসিক
সিলেট মহানগর আগামী বৃহস্পতিবারের (১৮ জুন) পরিবর্তে শনিবার (২১ জুন) থেকে লকডাউনের প্রস্তাব করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক)। মঙ্গলবার (১৬ জুন) রাতে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রশাসনের কাছে এই প্রস্তাব দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ কাউন্সিলররা। সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বুধবার ঢাকায় লিখিত আকারে এই প্রস্তাব পাঠানো হবে।
সভায় সভাপতিত্ব করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। এতে সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. প্রেমানন্দ মণ্ডল, নগরীর শাহপরাণ থানার সহকারী কমিশনার মো. মইনুল আবছার, কোতোয়ালি থানার সহকারী কমিশনার নির্মলেন্দু চক্রবর্তী ও সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।
সভার শুরুতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত বদরউদ্দিন আহমদ কামরানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটে সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক কাজী এম. এমদাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের এক সভায় সিলেটের রেড জোন চিহ্নিত হওয়া এলাকাগুলোতে বৃহস্পতিবার থেকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। নগরীর ২৫, ২৬ ও ২৭ নং ওয়ার্ড বাদে বাকি ২৪টি ওয়ার্ডকেই রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয় ওই সভায়।
যদিও এর আগে সুরমা নদীর উত্তরপারের ১৮টি ও দক্ষিণ সুরমার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডসহ এই ১৯টি ওয়ার্ডকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবারের সভায় ২৭ নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন থেকে বাদ দেয়া হয় এবং ১ থেকে ২৪ পর্যন্ত সুরমার উত্তরপারের সবগুলো ওয়ার্ডকে রেড জোনের আওতায় আনা হয়েছে।
এরপর রাতে সিলেট সিটি কর্পোরেশনে সভার আয়েজন করা হয়। সভায় বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে শনিবার থেকে নগরে লকডাউন শুরু করার প্রস্তাব করেন। এই প্রস্তাবে সায় দেন সিটি মেয়রও।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, একদিনের মধ্যে লকডাউন না দেয়ার পক্ষে কাউন্সিলররা মতামত দিয়েছেন।
কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, এবারের লকডাউন খুবই শক্ত হবে। মানুষকে দুদিন দিন সময় দিলে সহজে প্রয়োজনীয় বাজার করতে পারবেন তারা। হঠাৎ সবকিছু বন্ধ হলে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে পারেন। দুইদিন সময় দেয়া হলে সিটি কর্পোরেশন থেকে মাইকিং করে মানুষকে লকডাউন সম্পর্কে জানিয়ে দেয়া যাবে। শুক্রবার মসজিদের ইমামরাও লকডাউনের বিষয়ে মানুষকে সহজে জানাতে পারবেন। বুধবার ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবনার চিঠি পাঠানো হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মো. আজাদুর রহমান আজাদ, রেজওয়ান আহমদ, আফতাব হোসেন খান, রাশেদ আহমদ, এবিএম জিল্লুর রহমান, ফরহাদ চৌধুরী শামীম, ইলিয়াছুর রহমান, মো. ছয়ফুল আমিন (বাকের), মোহাম্মদ তৌফিক বকস, এস এম শওকত আমিন তৌহিদ, তারেক উদ্দিন তাজ, শান্তনু দত্ত (সনতু), অ্যাডভোকেট ছালেহ আহমদ সেলিম, সৈয়দ তৌফিকুল হাদী, এ কে এ লায়েক, মোস্তাক আহমদ, মো. সিকন্দর আলী, শাহানারা বেগম, রেবেকা আক্তার লাকী, অ্যাডভোকেট কুলসুমা বেগম পপি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ছামির মাহমুদ/আরএআর/জেআইএম