স্বামীর লাশ নিয়ে রাস্তায় বসে ছিলেন স্ত্রী, দাহ করল প্রশাসন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি টাঙ্গাইল
প্রকাশিত: ০৭:১০ পিএম, ১০ জুলাই ২০২০

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে অমল শীল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকালে অটোরিকশায় হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এরপর মরদেহ রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে চলে যান অটোরিকশা চালক। দীর্ঘক্ষণ মরদেহটি রাস্তায় পড়ে থাকলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে প্রশাসনের সহযোগিতায় বিকেলে কালিহাতী পৌরসভার উত্তর চামুরিয়া গ্রামে অমল শীলকে দাহ করার হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১০ দিন যাবৎ অমল শীল ঠান্ডা-জ্বরে ভুগছিলেন। সকালে অটোরিকশাযোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। এ সময় অটোরিকশা চালক রাস্তার পাশে তাকে রেখে গেলে স্ত্রী ছাড়া কেউ তার মরদেহের কাছে আসেনি। পরে বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করা হয়।

অমল শীলের স্ত্রী পবন রানী শীল বলেন, আমার স্বামীকে কয়েকদিন আগে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম। বাড়িতে নিয়ে আসার পর ঠান্ডা, জ্বর ও কাশিতে আক্রান্ত হন। সকালে হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বলেন, যখন জানতে পারলাম করোনার ভয়ে গ্রামের কেউ এগিয়ে আসছে না তখন পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় মরদেহ দাহ করার ব্যবস্থা করা হয়।

কালিহাতী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, অমল শীল করোনায় মারা গেছেন- এমন সন্দেহে আত্মীয়-স্বজন কেউ এগিয়ে আসেনি। খবর পেয়ে থানার এসআই হেলাল মাহমুদকে সেখানে পাঠাই। পরে স্থানীয় লোকজন এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপজেলা কমিটির সহযোগিতায় মরদেহ দাহ করা হয়।

করোনায় মৃত ব্যক্তিদের দাফন সংক্রান্ত ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কালিহাতী কমিটির লিডার মাওলানা মোহাম্মদ আবু হানিফ বলেন, মরদেহ দীর্ঘ সময় রাস্তায় পড়ে ছিল। খবর পেয়ে পুলিশ ও আমরা সেখানে উপস্থিত হই। পরে স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী লোকজন এগিয়ে আসে। তারপর শ্মশানঘাটে মরদেহ দাহ করার ব্যবস্থা করি।

এ বিষয়ে কালিহাতী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাইদুর রহমান বলেন, মৃত ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কি-না তা নিশ্চিত হতে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

আরিফ উর রহমান টগর/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।