৮ দিন পর পরীক্ষামূলক ফেরি চলতে পারে আজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০১:২৭ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০

কাঁঠালবাড়ী-শিমুলিয়া নৌরুটে ৮ দিনেও কাটেনি ঘাটের অচলাবস্থা। ৩ সেপ্টেম্বর থেকে নাব্য সংকটের কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে এ রুটে। ড্রেজিং কার্যক্রম চললেও কাজের কোনো অগ্রগতি দেখছে না ঘাটে আটকে পড়া পরিবহন চালকরা। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে দেশের ব্যস্ততম এ নৌরুটে।

এদিকে চ্যানেল সক্রিয় করতে ড্রেজিং প্রায় শেষ, দুপুরে পরীক্ষামূলক একটি ফেরি চালানো হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।

জানা যায়, ৮ দিন ধরে ঘাটেই খেয়ে না খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন পরিবহন ও ট্রাক চালকরা। অনেকের পকেটের টাকা শেষ হয়ে যাওয়ায় পরিবারের কাছ থেকে টাকা এনে কোনো রকমে দিন কাটাচ্ছেন। ঘাট জনমানবশূন্য হয়ে যাওয়ায় ঘাট এলাকার খাবার হোটেলগুলোর প্রায় সবই বন্ধ। এতে খাবার সংকটেও পড়তে হচ্ছে আটকে পড়া পরিবহন চালক ও হেল্পারদের।

এদিকে নৌচ্যানেলটিতে ড্রেজিং কার্যক্রমের তেমন গতি পাচ্ছে না। স্রোতের কারণে ভেসে আসা ময়লা আবর্জনা আটকে ড্রেজিং কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ড্রেজিংয়ে কর্মরতরা।

পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট, তীব্র স্রোত ও পদ্মাসেতুর নিরাপত্তাজনিত কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বিকল্প রুট ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে যাত্রী ও চালকদের। কিন্তু তারপরও কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক ও পরিবহন আটকা পড়েছে ঘাটে। পরিবহনের যাত্রীরা ঘাটে এসে পড়ছেন বিপাকে।

অপরদিকে লঞ্চ ও স্পিডবোট চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বর্তমানে ৮৭টি লঞ্চ ও দেড় শতাধিক স্পিডবোট পদ্মায় চলাচল করছে। এই রুটে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় দৌলদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটে চাপ বেড়েছে।

বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সাইদুর রহমান জানান, পদ্মা সেতুর ২৫নং পিলারের কাছে চায়না ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণের কাজ করা হচ্ছে। ওই ড্রেজারে অতিরিক্ত পানি দেয়ার কারণে বেশ কিছু পলি জমে নৌপথের একপাশ ভরাট হয়ে গেছে। চায়না ড্রেজারের পাইপ সরানোর কাজ চলছে। পাইপ সরানো শেষ হলে দুপুর নাগাদ শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে একটি ফেরি পরীক্ষামূলক চালানো হবে বলে তিনি জানান।

নাসিরুল হক/এফএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।