আদালত প্রাঙ্গণে এখন শুধু রায়ের অপেক্ষা
অডিও শুনুন
অন্য আর দিনগুলোর থেকে বরগুনার আদালত প্রাঙ্গণের চিত্র আজ ভিন্ন। সকাল ৮টা থেকে আদালত প্রাঙ্গণে বাড়ছে উৎসুক জনতার সমাগম। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মিডিয়াকর্মীদের আনাগোনাও। সবার অপেক্ষা- কখন হবে বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির রায়।
মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়েছে এ মামলায় কারাগারে থাকা ৬ আসামিকে। আর জামিনে থাকা ৮ আসামি আদালতে এসেছে তার আগেই।
রিফাত শরীফ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করবেন জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান। তাই আদালত প্রাঙ্গণে এখন শুধু রায়ের অপেক্ষা।
বেসরকারি একটি টেলিভিশন চ্যানেলের বরগুনা প্রতিনিধি রিয়াজ আহমেদ মুছা বলেন, সব আসামিদের আদালতে আনা হয়েছে। এখন আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সবাই রায়ের অপেক্ষা করছেন।
করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকার পরও মাত্র একবছর চার মাসের মাথায় নিষ্পত্তি হতে চলেছে বর্বরোচিত এ হত্যা মামলা। বহুল আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের রায় ঘিরে দেশের সব মহলের নজর আজ বরগুনার আদালতে।
ইতোমধ্যেই আদালত অঙ্গন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। একইভাবে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে পুরো জেলাজুড়ে।
জানতে চাইলে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টাস) মহরম আলী বলেন, আলোচিত এ হত্যা মামলার রায়কে কেন্দ্র করে বরগুনায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সদা সতর্ক রয়েছে।
গত ১৪ অক্টোবর এ মামলার দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে বরগুনার শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান রায়ের জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত হত্যাকাণ্ড ঘটে। ওই বছর ১ সেপ্টেম্বর ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে প্রাপ্ত ও অপ্রাপ্তবয়স্ক দু’ভাগে বিভক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। এর মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি রিফাত হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন বরগুনার শিশু আদালত। এরপর ১৩ জানুয়ারি থেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু করেন আদালত। মোট ৭৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে এ মামলায়।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায় ঘোষণা করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। রায়ে নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ছয়জনের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারক। আর বাকি চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
সাইফুল ইসলাম মিরাজ/এফএ/জেআইএম