দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাসে ধর্মঘট তুলে নিলেন জামালপুরের চিকিৎসকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৬:০২ পিএম, ৩০ ডিসেম্বর ২০২০

রোগীর স্বজন ও চিকিৎসকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ডাকা ধর্মঘট তিনদিন পর প্রত্যাহার করে নিয়েছেন চিকিৎসকরা। বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনে অনুষ্ঠিত বিশেষ সভায় চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাসে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।

হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটি এ সভায় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, ধর্মঘট প্রত্যাহারের পর পুরোদমে চিকিৎসা দিতে শুরু করেছেন জেলার সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

জামালপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক, পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) জামালপুর জেলার আহ্বায়ক ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রহমান রতন, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব ছানোয়ার হোসেন ছানু, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মাসুম রেজা রহিম প্রমুখ।

এ বিষয়ে ডা. মোশায়ের উল ইসলাম রহমান রতন বলেন, সভায় চিকিৎসকদের ৪ দফা দাবি পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি।

জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মো. মাহফুজুর রহমান জানান, ধর্মঘট প্রত্যাহার হওয়ায় জেলার সরকারি-বেসরকারি সব হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা পুনরায় চালু হয়েছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে করিমন নেছা নামের এক রোগীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হামলা, ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধর করে রোগীর স্বজনরা। এ সময় রোগীর স্বজন ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ডা. চিরঞ্জিৎ, ডা. হাবিবুল্লাহ, কর্মচারী কিরণ (৩২), রোগীর স্বজন শহিদুল্লাহ (৪০), জিহাদ (২০) ও সাইদুরসহ ১০ জন আহত হন।

খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় কয়েকজন ডাক্তার ও মেডিক্যাল শিক্ষার্থীকে আটক করে পুলিশ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সমঝোতায় তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়।

এ ঘটনায় চিকিৎসকরা ৪ দফা দাবিতে রোববার থেকে ধর্মঘট শুরু করেন। তিনদিন পর আজ দুপুর থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।

এসএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।