সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে করোনা টেস্টে অনিহা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় করোনা পরীক্ষায় অনীহা দেখা দিয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে। ফলে করোনা মহামারির দ্বিতীয় ডেউ মোকাবিলায় দেখা দিয়েছে সংকট। গত বছর এই সময়ে প্রতিদিন ৩০-৪০ জনের নমুনা সংগৃহীত হলে বর্তমানে সেই সংখ্যা ৩-৪ জনে নেমে এসেছে।
হাতিয়ায় করোনার নমুনা পরীক্ষা করা ল্যাবের টেকনেশিয়ান মো. তৌফিক জানান, একসময় হাতিয়া থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পাঠাতে হত জেলা সদরে। একদিন পর ফলাফল পাওয়া যেত। এ বছর ১ এপ্রিল থেকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরাসরি করোনা পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করা হয়েছে।
এখানে জিন এক্সপার্ট মেশিন স্থাপন করে তৈরি করা অত্যাধুনিক ল্যাবে ১ ঘণ্টার মধ্যে ফলাফল পাওয়া যায়। গত ১০ দিনে এই উপজেলায় ২৩ জন নমুনা দিয়েছেন যাদের মধ্যে ৮ জন করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়।
তিনি আরও জানান, প্রতিদিনই আমাদের ল্যাবে রোগীর নমুনা পরীক্ষা করে ফলাফল দেয়ার সক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু গত ১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা শুরু হলেও পর্যাপ্ত রোগী পাওয়া যাচ্ছে না। গত ১০ দিনে আমরা ২৩ জন রোগী পেয়েছি যাতে গড়ে ৩ জনও হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাজিম উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের রোগী আসেন। এদের মধ্যে অনেককে আমারা করোনা টেস্ট করতে বলার পরও তারা করছেন না। এ বিষয়ে আমরা উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিঠির বৈঠকে আলোচনা করেছি। জনপ্রতিনিধিদের এই কাজে সংযুক্ত করতে পারলে মনে হয় একটা ভালো ফলাফল পাওয়া যেত।
হাতিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চরকিং ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মহিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, গ্রামের মানুষ সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও লোকলজ্জার ভয়ে করোনা টেস্ট করাতে চাচ্ছে না। এজন্য জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়ার জন্যও বলেন তিনি।
গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হওয়া করোনা মহামারিতে হাতিয়ায় এই পর্যন্ত ১৩৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক ব্যাংক কর্মকর্তা ও চরকিং ইউনিয়নের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়।
এফএ/জেআইএম