লকডাউনেও সাপ্তাহিক হাটে জনসমাগম, বালাই নেই স্বাস্থ্যবিধির
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। এ কারণে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হওয়া যাবে না। যদিও বের হয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে হাজারও মানুষের সমাগম হয়েছ সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার সাপ্তাহিক হাটে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গাদাগাদি করে চলে বাজারে বেচা-কেনা।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার ‘নওগাঁ হাট’ বসে প্রতি বৃহস্পতিবার। দূর-দূরান্ত থেকে নানা ধরনের পণ্য নিয়ে হাজির হন বিক্রেতারা। সারাদিন চলে বিকিকিনি। সাপ্তাহিক এ হাটে প্রয়োজনীয় সবধরনের জিনিসই পাওয়া যায়। তাই মানুষের জনসমাগমও হয় বেশ।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকালে বাজারে ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম বিশাল এলাকা। সেখানে একে অপরের গা ঘেঁষে চলাচল করছেন। অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই। মানা হচ্ছে কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি। করিমন, নসিমন, পিকআপসহ নানা ধরনের গাড়ি করে আসছে ক্রেতা-বিক্রেতারা।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার বলেন, ‘সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করে চলছে হাট। হাট নয় যেন করোনা চাষ হচ্ছে। প্রশাসনের কোনো পদক্ষেপ নেই। করোনা সংক্রমণ রোধে দ্রুত হাট বন্ধ করে দেয়ার দাবি করছি ‘
নওগাঁ হাট কমিটির সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন, ‘হাট পরিচালনা করছে স্থানীয় সংসদ সদস্যের ভাই অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম। মূলত আমরা তার প্রতিনিধি হিসেবে আছি। তাকেই বলেন।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম বলেন, ‘লকডাউনের মধ্যে হাট চলবে কি চলবে না, তা দেখবে প্রশাসন। কারণ, প্রশাসন তো আমাদের হাট বন্ধ রাখতে নিষেধ করেনি। আর এ নিয়ে নিউজ করার কি আছে।’
এ ব্যাপারে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মেজবাউল করিম বলেন, ‘হাটে লোকজন আসবে কী করে লকডাউনের মধ্যে। এরপরও বিষয়টা আমি দেখছি।’
ইউসুফ দেওয়ান রাজু/এসজে/এমকেএইচ