লকডাউনে ক্ষতির মুখে কুয়াকাটার পর্যটন ব্যবসা
করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশের মতো বন্ধ আছে দেশের অন্যতম পর্যটন এলাকা কুয়াকাটা। এতে আবারও ক্ষতির মুখে এখানকার কয়েক হাজার হোটেল-মোটেল ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হাজারও মানুষ এখন অলস সময় পার করছেন।
এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সরকারের বিশেষ প্রণোদনা প্রত্যাশা করছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া সীমিত পরিসরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যটকদের চলাচলে বিধি নিষেধের প্রত্যাহার চান তারা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সূর্যোদয় আর সূর্যাস্তের বেলাভূমি হিসেবে পরিচিত সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটায় এখন সুনসান নীরবতা। সরকারি বিধিনিষেধের কারণে নেই পর্যটকদের আনাগোনা। রুটিন দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কর্মচারীরা অলস সময় পার করছেন।
প্রতিষ্ঠানের আয় বন্ধ থাকায় তাদের বেতন বোনাস পাওয়া নিয়েও শঙ্কা তৈরি হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়ীদের এবার পথে বসতে হবে বলে জানান পর্যটন ব্যবসায়ীরা।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব কুয়াকাটার প্রেসিডেন্ট রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, ‘কুয়াকাটায় অন্তত ৫ হাজার মানুষ আছে যারা সরাসরি পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তারা সবাই এখন বেকার। দেড় শতাধিক আবাসিক হোটেল, ৪০টির মতো খাবার হোটেলসহ অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। গতবার সরকার আশা দিয়েছিল পর্যটন ব্যবসায়ীদের প্রণোদনার দেয়া হবে। কিন্তু আসলে পাওয়া যায়নি।’
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক আ. মোতালেব শরিফ বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত, কীভাবে পর্যটন ব্যবসায়ীরা টিকে থাকবে। গত বছরের ক্ষতি এখনো পুষিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। এর মধ্যে আবারও লকডাউন। গত বছরের ব্যাংক ঋণ, স্টাফদের বেতন, বিদ্যুৎ বিল এখনো পরিশোধ করা যায়নি। আমরা চাই সরকার হয় আমাদের প্রণোদনা দিবে অথবা ব্যাংকের ঋণের সুযোগ করে দিবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরে হোটেলগুলোর অন্তত ১০ কোটি টাকা লস আছে। আমরা যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেল-মোটেল চালু রাখতে পারে সে বিষয়েও সরকারের দৃষ্টি কামনা করছি।’
এসজে/এএসএম