বগুড়ায় ইন্টারনেটে আসক্তি বাড়ছে শিক্ষার্থীদের
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্কুল-কলেজসহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধাপের পর ধাপ ছুটি বেড়ে তা দীর্ঘ মেয়াদি ছুটিতে পরিণত হয়েছে। এই সুযোগে বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার শিক্ষার্থীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেটভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্ত হয়ে পড়ছে। ফলে নানা রকম অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রতারকের খপ্পরে পড়ে উপজেলার দুই স্কুলছাত্রী। পরে পুলিশ প্রায় ১১দিন পর তাদের সিরাজগঞ্জ থেকে উদ্ধার করে।
খোঁজ জানা গেছে, স্কুল বন্ধ তাই বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার এক ছাত্রীর ইন্টারনেটে বেড়েছে আসক্তি। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে পরিচয় রংপুরের পীরগাছার যুবক রাসেলের সঙ্গে। পরে রাসেলের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে পরিচয় হয় তার বন্ধু গাজীপুরের গার্মেন্টসকর্মী হৃদয়ের সঙ্গে। এরই মধ্যে হৃদয়ের সঙ্গে ওই ছাত্রীর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক।
হৃদয় নানা প্রলোভন দেখিয়ে রাসেলের মাধ্যমে ১৫ এপ্রিল তাকে বাড়ি থেকে বগুড়ায় নিয়ে আসেন। আসার সময় ওই স্কুলছাত্রী তার প্রতিবেশী ১১ বছর বয়সী আরেক শিক্ষার্থীকে সঙ্গে নিয়ে যায়। পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে তাদের না পেয়ে থানায় একটি জিডি করেন।
পুলিশ তাদের উদ্ধার করতে রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। সেখান থেকে জানা যায়, ওই দুই শিক্ষার্থী রাসেলের বন্ধু হৃদয়ের কাছে রয়েছে। পুলিশি তৎপরতা বেড়ে গেলে প্রতারকরা ওই দুই শিক্ষার্থীকে সিরাজগঞ্জে রেখে পালিয়ে যান। ২৬ এপ্রিল পুলিশ তাদের উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে।
দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আলী বলেন, ‘অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজের অজান্তেই নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে। এজন্য শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোনের অপব্যবহার কমাতে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে।’
এসজে/এমএস