আখাউড়ায় ভারতফেরত আরও ৩ জনের করোনা শনাক্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফেরা কোয়ারেন্টাইনে থাকা আরও তিনজন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী রয়েছেন। রিপোর্ট আসার পর তাদের তিনজনকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
শুক্রবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
জানা যায়, এ স্থলবন্দর দিয়ে গত একমাসে ১ হাজার ১৮৪ জন বাংলাদেশে ফিরেছেন। এরমধ্যে সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন দু’জন।
আখাউড়া স্থলবন্দর কাস্টমস কর্মকর্তা আব্দুল হামিদ জানান, ‘নিয়মিত যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকলেও বিশেষ অনুমোদন নেয়া যাত্রীরা পারাপার হচ্ছেন। গত ২৬ এপ্রিল থেকে ২৮মে পর্যন্ত আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে এক হাজার ১৮৪ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন’।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে যারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন তাদের বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা শহরের ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পূরণ করা ৫৫৬ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।
সম্প্রতি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের করোনার পরীক্ষার জন্য নেয়া নমুনা ঢাকায় পাঠানো হয়। শুক্রবার রাতে ৮৪টি নমুনার ফল আসে। এরমধ্যে পজিটিভ হয়েছেন বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের থাকা তিনজন। তাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কোয়ারেন্টাইন থেকে আইসোলেশনে স্থানান্তর করা হয়েছে।
সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘ভারতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস মহামারি আকার ধারণ করেছে। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে আসা যাত্রীদের সেখানেই করোনা পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেখানে কেউ বাদ পড়লে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তাদের করোনার ধরন ভারতীয় কি-না তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তা শনাক্ত করতে করোনা পজিটিভ হওয়া ব্যক্তিদের নমুনা জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কোনো ফলাফল আমরা পাইনি।’
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসএমএম/এমএস