নওগাঁয় লকডাউন বাড়ল আরও ৭ দিন, বন্ধ থাকবে চায়ের স্টল

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ০৪:২৫ পিএম, ০৯ জুন ২০২১
ফাইল ছবি

নওগাঁ পৌরসভা এবং নিয়ামতপুর উপজেলায় শর্ত শিথিল করে চলমান বিশেষ লকডাউনের মেয়াদ আরও সাতদিন বাড়ানো হয়েছে। চলমান এই লকডাউন আগামী ১৬ জুন পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

বুধবার (৯ জুন) দুপুর দেড়টায় জেলা প্রশাসক হারুন অর রশীদ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেন।

বিধিনিষেধের মধ্যে রয়েছে-সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান, শপিংমল ও বিপণিবিতান খোলা রাখা যাবে। তবে চায়ের স্টল বন্ধ থাকবে। জেলা সদর থেকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে এবং মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন (বাস, মাইক্রো, অটোরিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল) চলাচল করতে পারবে।

জেলার নিয়ামতপুর উপজেলা এবং রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সঙ্গে সব পরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে। হোটেল, রেস্তোঁরাগুলো শুধুমাত্র পার্সেল আকারে বা অনলাইনে অর্ডার গ্রহণপূর্বক বিক্রয় কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে।

Lock.jpg

নতুন ঘোষণায় আরও বলা হয়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও সীমান্ত সংলগ্ন জেলার হাটবাজার, পর্যটনস্থল, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্রসমূহ বন্ধ থাকবে। জনসমাবেশ হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান, বিবাহ, জন্মদিন ও পিকনিক পার্টি ইত্যাদি বন্ধ থাকবে। জুমার নামাজসহ প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

এসময় পুলিশ সুপার প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান মিয়া, সিভিল সার্জন ডা. এ বি এম আবু হানিফ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ইব্রাহীমসহ জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

চায়ের দোকানিদের জন্য সরকারিভাবে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এদিকে বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশের চেকপোস্ট থাকায় যানবাহন চলাচল করছে না। যারা প্রয়োজনে রিকশা ও সিএনজি যোগে চলাচল করছেন তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। মানুষ পায়ে হেঁটে চলাচল করছে।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৯২ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

আব্বাস আলী/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।