নেত্রকোনায় বাড়ছে সংক্রমণ, আগ্রহ নেই নমুনা পরীক্ষায়
নেত্রকোনায় বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। ঘরে ঘরে উপসর্গের রোগী থাকলেও নমুনা পরীক্ষায় আগ্রহ নেই স্থানীয়দের। ফলে আক্রান্ত আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কলমাকান্দায় সীমান্তে হাটবাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। আক্রান্তদের বাড়ি লকডাউন করা হয়নি। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বাইরে ঘোরাঘুরি করে সংক্রমণ ঘটাচ্ছেন। কলমাকান্দায় এখনো ২৫ জন করোনায় আক্রান্ত রয়েছেন। সর্দি, জ্বর, কাশিসহ করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে শত শত রোগী। উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের আক্রান্ত রোগীদের গ্রামগুলোতে লকডাউনের কথা থাকলেও তা কার্যত কাগজে কলমে। বাস্তবে প্রশাসনের নজরদারি নেই বললেই চলে।
এদিকে সর্দি, জ্বর, কাশি ও গলা ব্যথাসহ করোনার আক্রান্ত রোগী রয়েছে দুর্গাপুর সীমান্তের গ্রামগুলোতে। ওই উপজেলায় লকডাউনের আওতায় গ্রাম ও ইউনিয়ন গুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালানো হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্র জানায়, গত চব্বিশ ঘণ্টায় জেলায় ১৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দুই জন। এ পর্যন্ত ২৮ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে মারা গেছেন। এক সপ্তাহে নতুন আক্রান্ত ১০০ জন। জেলায় মোট আক্রান্ত রোগী ১ হাজার ৩৭০ জন। সুস্থ হয়েছেন ১ হাজার ১৩০ জন।
জেলা সদর হাসপাতালে ৩৬ শয্যা নিয়ে চালু করা হয় করোনা ওয়ার্ড। সেখানে কেবল ৩৬ টি শয্যা, তিনটি পালসঅক্সিমিটার আর ১১টি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর ছাড়া আর কিছুই নেই। শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য অক্সিজেন-সহায়তা অপরিহার্য হলেও পুরো হাসপাতালে আজও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা চালু করা হয়নি।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তানজিরুল ইসলাম বলেন, তিনজন সিনিয়র নার্স ও করোনা নমুনা সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত এক টেকনিশিয়ান করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। একারণে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষার কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে।
কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, বুধবার উপজেলায় ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় নয় জনের পজিটিভ এসেছে। ঘরে ঘরে রোগী আছে তবে অনেকেই নমুনা পরীক্ষা করাতে চাচ্ছেন না।
সিভিল সার্জন ডা. সেলিম মিঞা বলেন, করোনায় আক্রান্ত সাধারণ রোগীদের চিকিৎসার জন্য সব প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। তবে জটিল রোগী হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, করোনা চিকিৎসার সব ধরনের সরঞ্জাম চেয়ে বিভাগীয় পরিচালকের কাছে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছি।
এইচ এম কামাল/আরএইচ/জিকেএস