মাদারীপুরে ফাঁকা রাস্তা-ঘাট, ফেরিঘাটে নেই যাত্রী
করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধের প্রথম দিনে মাদারীপুরে রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। শুনশান নীরবতা শহরজুড়ে। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে পুলিশি চেকপোস্ট। বাজারগুলোতে কিছু সংখ্যক মানুষ দেখা-গেলেও তেমন ভিড় নেই।
ফার্মেসি ছাড়া বন্ধ রয়েছে শহরের সমস্ত দোকান-পাট। জনসাধারণের চলাচলও খুবই কম। বন্ধ রয়েছে বেশিরভাগ হোটেল-রেস্তোঁরাও। খুলেনি সরকারি-বেসরকারি অফিস। বন্ধ রয়েছে গণপরিবহনসহ অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন।
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে জরুরি ও পণ্যবাহী ট্রাক ছাড়া ছিল না কোন যানবাহন। জেলা ও উপজেলা ব্যাপী সড়কের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এবং বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে বাঁশ দিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে জনসাধারণের চলাচল সীমিত করা হয়েছে।
এদিকে বাংলাবাজার ফেরিঘাটে জরুরি যানবাহন ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন নেই বললেই চলে। নেই জনসাধারণের তেমন উপস্থিতি। বন্ধ রয়েছে লঞ্চ ও স্পিডবোট।
বাংলাবাজার ঘাট ম্যানেজার সালাউদ্দিন জানান, জরুরি যানবাহন ও পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে প্রয়োজন অনুসারে ফেরি চলাচল করছে।
মাদারীপুরের জেলার প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন জানান, মাদারীপুরে লকডাউন কার্যকর করতে এরইমধ্যে পাঁচজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। আর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা রওনা দিয়ে ঢাকা থেকে আসছেন। দুপুরের মধ্যে মাদারীপুরে কাজ শুরু করবেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মাদারীপুরে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ জন। শনাক্তের হার ৩৫ দশমিক ৮৪ ভাগ। জেলায় মোট মৃত্যুবরণ করেছেন ৩২ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন ১০ জন এবং হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৪৩ জন।
এ কে এম নাসিরুল হক/এসজে/এমকেএইচ