বাংলাবাজার ঘাটে কমেছে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ
গত দুদিনের তুলনায় সোমবার (২ আগস্ট) ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ ছিল না বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। লঞ্চ ও ফেরিতে যাত্রী পারাপার করায় চাপ কমে যায়। দুপুর ১২টার দিকে লঞ্চ বন্ধ হলে ফেরিতে যাত্রীর কিছুটা চাপ বাড়ে। রাতে তা একেবারেই কমে যায়।
বাংলাবাজার-শিমুলিয়া উভয় ঘাটে এখন পণ্যবাহী ট্রাক ও ছোট গাড়ির চাপ রয়েছে। সোমবার রাত ৮টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত দুই ঘাটে প্রায় দু শতাধিক ট্রাক ও শতাধিক ব্যক্তিগত গাড়ি নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে পদ্মার তীব্র স্রোতে ফেরি পারাপারে দ্বিগুণ সময় লাগছে।
বাংলাবাজার ফেরিঘাট সূত্র জানায়, সোমবার সকাল থেকে কিছু যাত্রী দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে বাংলাবাজার ঘাটে আসেন। কোনো ঝামেলা ছাড়াই তারা ফেরি পার হন। এ নৌরুটে লঞ্চ বন্ধ থাকলেও এখন ১০টি ফেরি চলাচল করছে।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বাংলাবাজার ঘাটের সহকারী কর্মকর্তা ব্যবস্থাপক ভজন কুমার সাহা বলেন, ‘বর্তমানে এ রুটে ১০টি ফেরি চলছে। রো রো ফেরি বন্ধ রাখা হয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তীতে সেগুলো চালানো হবে। এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, লাশবাহী পরিবহন, পচনশীল দ্রব্যের ট্রাক পারাপার করা হচ্ছে।’
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহমেদ জানান, শিল্প কারখানা খুলে দেয়ায় গত দুদিন এই নৌরুটে ঢাকামুখী যাত্রীর চাপ থাকায় লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেয় বিআইডব্লিউটিএ। দুপুর ১২টা থেকে সরকারের নির্দেশনামতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেয় ঘাট কর্তৃপক্ষ। লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে ফেরিতে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। তবে রাতে চাপ নেই বললেই চলে।’
এ কে এম নাসিরুল হক/এসজে/এএসএম