৪০ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় যাচ্ছিল ‘পুলিশের গাড়ি’
লকডাউনে যাত্রী পরিবহনের সময় পুলিশ বিভাগের লোগোযুক্ত নম্বরবিহীন একটি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাত ১টার দিকে নাটোরের চকরামপুর অতিক্রম করার সময় গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ঢাকার রাজারবাগ থেকে আসা পুলিশ বিভাগের ২৬ সিটের একটি গাড়ি ৪০ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল থেকে যাত্রীপ্রতি দুই হাজার টাকা আদায় করেন চালক।
বাসটি নাটোর শহরের চকরামপুর অতিক্রম করার সময় পাথরবোঝাই একটি ট্রাকের সঙ্গে লেগে গ্লাস ভেঙে যায়। এতে ট্রাকচালক তোরাব আলী ও হেলপার কাসেমকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন চালক ফিরোজ হাসান। এসময় স্থানীয় এক তরুণ জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানালে পুলিশ সেখানে উপস্থিত হয়ে গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়।

বাসচালক ফিরোজ হাসান জানান, মঙ্গলবার ঢাকার রাজারবাগ থেকে সাতজন পুলিশ অফিসার নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে যান। ফেরার পথে পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরত ওসি ট্রান্সপোর্ট রেজাউল করিমের নির্দেশে নাচোল থেকে ৪০ জন গার্মেন্টকর্মী নিয়ে ঢাকায় রওনা হন।
গাড়িতে থাকা যাত্রী হোসেন আলী, আমেনা বেগম এবং রুনা বেগম জানান, নাচোলের শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টার থেকে জনপ্রতি দুই হাজার টাকা নিয়ে এ গাড়িতে তুলে দেয়া হয়। আমাদের সামনে কাউন্টারের লোক পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে পুলিশ টেলিকম অ্যান্ড ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বরত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, ‘চালক যাত্রী নিয়ে বাঁচার জন্য আমার কথা বলেছেন। এটি অনিয়ম হয়েছে। এ রকম ভুল আর হবে না বলে তিনি সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন।’
নাটোর সদর ওসি (তদন্ত) আব্দুল মতিন বলেন, ‘পুলিশ টেলিকমের বাসটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়েছে। তারা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
এ বিষয়ে নাটোর পুলিশ সুপার (এসপি) লিটন কুমার সাহা বলেন, ‘যেহেতু গাড়িটি সরকারি সে কারণে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তারাই চালকের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’
রেজাউল করিম রেজা/আরএইচ/এএসএম