বাবাকে রাজাকার বলায় দুজনের বিরুদ্ধে এমপির ভাইয়ের মামলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নাটোর
প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ১০ আগস্ট ২০২১
অধ্যাপক ড. সুজিত সরকার ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. সুজিত সরকার ও নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) দুপুরে নাটোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের সংসদ সদস্য মো. শফিকুল ইসলাম শিমুলের ছোট ভাই পরিবহন ব্যবসায়ী সাজেদুল ইসলাম সাগর। বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে র‌্যাবকে তদন্ত করে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৫ জুলাই নাটোরের স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে নাটোর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক সংবাদ সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও বিভাগের সভাপতি সুজিত কুমার সরকারের লেখা নাটোর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য এবং মুক্তিযুদ্ধ নামক গ্রন্থের উদ্ধৃতি দিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের বাবাকে রাজাকার বা স্বাধীনতাবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এ সময় সংসদ সদস্য শিমুলকে রাজাকারের সন্তানও বলা হয়।

এতে সংসদ সদস্য শিমুল ও তার পরিবারের রাজনৈতিক এবং সামাজিকভাবে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন ও মানহানি হয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আরিফুর রহমান সরকার অভিযুক্তদের আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য নির্দেশ দিতে আদালতের কাছে আবেদন জানান। শুনানি শেষে বিচারক এ এফ এম গোলজার রহমান নাটোর র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডারকে তদন্ত করে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্ত নাটোর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন বলেন, ‘আমি যা বলেছি তথ্য প্রমাণ দিয়েই বলেছি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গবেষক ড. সুজিত কুমার সরকার নাটোর জেলার ইতিহাস ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ নামক বইয়ে রাজাকারের তালিকায় সংসদ সদস্যের বাবার নাম উল্লেখ থাকায় সেটা বলেছি। এছাড়া ২০১২ সালে সংসদ সদস্য নলডাঙ্গা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আসাদুজ্জামান আসাদের বিরুদ্ধে অনুরূপ একটি মামলা করেছিলেন, আদালত তখন তা নথিজাত করে বাতিল করে দিয়েছিল।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. সুজিত কুমার সরকার বলেন, ‘আমি কারও প্রতি কোনো রাগ ক্ষোভের কারণে এমন বই লিখিনি। তিন বছর মাঠে ময়দানে কাজ করে যে তথ্য পেয়েছি তা যাচাই-বাছাই করেই লিখেছি।

এর আগে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানায় বাদী হয়ে রাবি অধ্যাপকের নামে একটি অভিযোগ দাখিল করেন এমপি শফিকুল ইসলাম শিমুল।

রেজাউল করিম রেজা/এসজে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।