নড়িয়ায় ৩ বিদ্যালয়ে জোয়ারের পানি, খোলা আকাশের নিচে পাঠদান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর
প্রকাশিত: ০৩:৫১ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১

জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার তিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদানে বিঘ্ন ঘটেছে। এর মধ্যে দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ও অপর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশের বাড়ির বারান্দায় ক্লাস করতে দেখা গেছে।

প্রায় দেড় বছর পর ১২ সেপ্টেম্বর থেকে বিদ্যালয় খুললেও জোয়ারের পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃধা কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শেণিকক্ষ পাঠদানের উপযোগী ছিলো না। ফলে দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে ও অপরটির শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলে পাশের বাড়ির বারান্দায়।

jagonews24

স্থানীয়রা জানান, ২০১৮ সালে পদ্মার ভাঙনের শিকার উপজেলার পূর্ব নড়িয়া গ্রামটি। ওই গ্রামেই ছিল পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাকা ভবন। পদ্মার ভাঙনে একই বছর বিলীন হয়ে যায় ভবনটি। এতে ভেঙে পড়ে পাঠদান ব্যবস্থা। পরে ওই গ্রামে অস্থায়ীভাবে চার রুম বিশিষ্ট একটি টিনের ঘরে পাঠদান শুরু হয়। কিন্তু করোনায় এক বছর আট মাস ক্লাস বন্ধ থাকে। গত ১২ সেপ্টেম্বর ক্লাস চালু হলেও বিদ্যালয়টির চারদিকে জোয়ারের পানি থাকায় ক্লাস করা সম্ভব হচ্ছে না।

পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার বলেন, জোয়ারের পানি ও কাদা থাকায় বিদ্যালয়ে কাছাকাছি একটি বাড়ির আঙিনায় বিদ্যালয়ের বেঞ্চ নিয়ে ক্লাস করাচ্ছি।

jagonews24

ওই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিকা ও সাব্বির হোসেন জানায়, জোয়ারের পানির কারণে ওইখানে আমরা পড়তে যাইতে পারতাছি না। বর্তমানে পাশের একটি বাড়িতে ক্লাস নেওয়া হয়। আমাদের একটি পাকা স্কুল হলে ভালো হতো।

চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেলেনা আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে জোয়ারের পানি ঢোকায় বিদ্যালয়ে ক্লাস নেয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের নিকটবর্তী একটি বাড়ির উঠানে ক্লাস নিচ্ছি। শিক্ষার্থী ও আমাদের কষ্ট হচ্ছে।

শরীয়তপুর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, পূর্ব নড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চর জপসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৃধা কান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি। তাই অন্যত্র ক্লাস চলছে। পানি কমছে গেলে বিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হবে।

মো. ছগির হোসেন/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।