কাফনের কাপড় পরে প্রতীক আনতে যাওয়া সেই প্রার্থীর ওপর ফের হামলা
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার পক্ষিয়া ইউনিয়নের স্বতন্ত্র (চশমা) প্রতীকের প্রার্থী মো. আলাউদ্দিন সরদারের ওপর সন্ত্রাসী হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও ভাঙচুর করা হয়।
শনিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ৭ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাফনের কাপড় পরে প্রতীক আনতে যাওয়ার পথে হামলার শিকার হন স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন সরদার।
স্বতস্ত্র প্রার্থী মো. আলা উদ্দিন সরদার বলেন, নির্বাচনে মনোনয়ন দাখিলের পর থেকেই নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. নাগর হাওলাদার ও তার সমর্থকরা আমাকে হুমকি দিয়ে আসছিল। এ পর্যন্ত আমিসহ আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক কয়েকবার তাদের হামলার শিকার হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আজ সকালে আমি নিজের বাড়ি থেকে মোটরসাইকেলে করে সমর্থকদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় আমার পথ রোধ করে নাগর হাওলাদারের সমর্থকরা। এ সময় আমার ওপর হামলা করা হয়। আমার মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করে তারা পালিয়ে যায়।

আলা উদ্দিন বলেন, নৌকার প্রার্থীর সমর্থকরা আমার মাথায়, হাত ও পায়ে আঘাত করে। আমি গুরুতর আহত হয়েছি। প্রাণের ভয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে না গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে বাড়িতে অনেক কষ্ট করে চিকিৎসা নিচ্ছি।
অভিযোগ অস্বীকার করে শনিবার বিকেলে বোরহানগঞ্জ বাজার এলাকায় নির্বাচনী অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. নাগর হাওলাদার। তিনি দাবি করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী আলাউদ্দিন সরদারের কোনো জনসমর্থন নেই। তাই তিনি এর আগে কাফনের কাপড় পরে প্রতীক আনতে গিয়ে মিথ্যে নাটক করেছেন। আজ তার মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে। এতে হয়তো তিনি আহত হতে পারেন। কিন্তু তিনি নাটক করে ভোটারদের বোকা বানাতে এবং নির্বাচনকে বানচাল করতে একের পর এক নাটক সাজাচ্ছেন। যার কোনটিই সত্য নয়। স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে আমি আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিন ফকির জাগো নিউজকে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিষয়টি লোকমুখে শুনেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এসজে/জেআইএম