নির্মাণের দুই বছরেও কাজে লাগেনি গণশৌচাগার
নির্মাণের দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে তালা ঝুলছে জামালপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গণশৌচাগার। এ দীর্ঘ সময়ে তালাগুলোতে মরিচা ধরে গেছে। তবে এ সময়ে একদিনের জন্যও ব্যবহার হয়নি গণশৌচাগার। পরিপাটি এমনই একটি পাবলিক টয়লেট থাকার পরও যেখানে সেখানে মলত্যাগ করছেন অনেকে। এতে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সাধারণ জনগণের পানি সরবরাহ ও এনভায়রনমেন্টাল স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নতিকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে পাঁচটি গণশৌচাগার প্রকল্প হাতে নেয় জামালপুর পৌরসভা। এর আওতায় জেনারেল হাসপাতাল, ফৌজদারি মোড়, সকাল বাজার মাছপট্টি, পৌর কার্যালয় ও গেটপাড় সংলগ্ন স্টেশন রোডের গণশৌচাগার নির্মাণকাজের কার্যাদেশ পায় মেসার্স হিরা এন্টারপ্রাইজ। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে কাজগুলো বুঝিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। নির্মাণের পর চারটি টয়লেট চালু থাকলেও দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরীণ টয়লেটটি।
অভিযোগ রয়েছে, দুই বছরের বেশি সময় ধরে তালা ঝুলছে ওই গণশৌচাগারে। নির্মাণের পর একদিনের জন্যও ব্যবহার করা হয়নি শৌচাগারটি। এতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সেবা নিতে আসা রোগীদের।

বিপ্লব নামের স্থানীয় এক যুবক জাগো নিউজকে বলেন, ‘নির্মাণের পর থেকেই গণশৌচাগারটি বন্ধ। যেহেতু এ এলাকাতেই থাকি তাই মাঝেমধ্যে দেখি মলত্যাগ করতে রোগী ও স্বজনরা দিগ্বিদিক ছুটোছুটি করছেন।’
মাদারগঞ্জের গাবের গ্রাম থেকে এসে রোগী নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন মো. হৃদয়। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘এখানে একটা পাবলিক টয়লেট আছে জানিই না। টয়লেটটি চালু থাকলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হতো।’
মেলান্দহ পৌরসভার হাজরাবাড়ি থেকে আসা আমিনুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন থেকেই টয়লেটটি বন্ধ হয়ে আছে। এটি চালু না থাকায় রোগীর স্বজনসহ স্থানীয়দের অনেক সমস্যা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘কাজ শেষ হওয়ার পরপরই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রকল্পকাজ হস্তান্তর করা হয়েছে। মেয়র সাহেব কমিটিও করে দেন। হাসপাতাল বাদে সবগুলো গণশৌচাগার চালু রয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শৌচাগারটি চালু না করলে আমরা কী করতে পারি?’
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান সোহান জাগো নিউজকে বলেন, দুই বছরেরও বেশি সময় থেকে এটি বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এটি আমাদের কাছে হস্তান্তর না করায় এখনও চালু করা সম্ভব হয়নি।
নাসিম উদ্দিন/এসআর/জিকেএস