সরকারি শিশু পরিবারে শিক্ষক নেই, পাঠদানে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝালকাঠি
প্রকাশিত: ০৪:৩২ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২
পাঠদান করাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানেরই একজন। ছবি-জাগো নিউজ

ঝালকাঠি সরকারি শিশু পরিবারে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। শিক্ষক না থাকায় শিশুদের পাঠদান করাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা নিজেদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী এবং পারদর্শিতার ওপর নির্ভর করে শ্রেণি অনুযায়ী পাঠদান করাচ্ছেন। সম্প্রতি ঝালকাঠি সরকারি শিশু পরিবারে গেলে এমনটাই দেখা গেছে।

প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পিতৃহীন অথবা যাদের বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই বা যারা দরিদ্র পরিবারের সন্তান তাদের শিশু পরিবারে সরকারিভাবে পুনর্বাসন করা হয়। তেমনি ঝালকাঠিতেও রয়েছে একটি শিশু পরিবার। সেখানে শ্রেণিকক্ষের পাঠদানের পাশাপাশি এসব শিশুদের দিয়ে ছোটখাটো কাজ, প্রশিক্ষণ, নৈতিকতা ও সাংস্কৃতি চর্চা এবং ক্রীড়া ও শারীরিক কসরতসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা দেওয়া হয়। এতে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ হচ্ছে। গত বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে কুচকাওয়াজে অংশ নিয়ে তিনটি ইভেন্টের দুটিতে প্রথমস্থান ও একটিতে দ্বিতীয়স্থান অধিকার করে ঝালকাঠি শিশু পরিবারের শিশুরা।

jagonews24

ঝালকাঠি সরকারি শিশু পরিবারের উপ-তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্বে আছেন আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল। তিনি জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে দীর্ঘদিন ধরে দুই শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এজন্য তারা নিজেরাই শিশুদের পাঠাদান করান। শিশু থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত মেট্রোন কাম নার্স শাহিনুর আক্তার, চতুর্থ ও পঞ্চম শেণি পর্যন্ত কারিগরি প্রশিক্ষক আসমা বেগম, ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অফিস সহায়ক সোলায়মান হোসেন এবং নবম, দশম ও এসএসসি পরীক্ষার্থীদের তিনি নিজে পাঠদান করান।

শিশু পরিবার সূত্র জানায়, ঝালকাঠি শিশু পরিবার থেকে জেলা সমাজ সেবা অফিসে কম্পিউটার ট্রেডে ১৮ জন ও যুব উন্নয়নে ছয়মাস মেয়াদি সমন্বিত খামার ব্যবস্থাপনায় একজন প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। জেলা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (টিটিসি) ড্রাইভিং শিখতে দুজন আবেদন করেছেন। দুই শিক্ষার্থী এখানে থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করছেন।

jagonews24

উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, শিশু পরিবারের ক্যাম্পাসে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ ছোটখাটো কিছু কাজ করানো হয় শিশুদের দিয়ে। যাতে তারা পরিশ্রমী হয়।

তিনি আরও বলেন, কোন বয়সের শিশুদের দিয়ে কোন কাজ করানো যাবে সে ব্যাপারে আমাদের নীতিমালা আছে। সে অনুযায়ীই তাদের দিয়ে কাজ করানো হচ্ছে। শিক্ষক পদায়নের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে বলেও জানান উপ-তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল।

ঝালকাঠি জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শাহপার পারভিন জাগো নিউজকে বলেন, সরকারি শিশু পরিবারে শিক্ষক পদায়ন দিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়েছে। আশা করি খুব শিগগির শিক্ষক পদ দুটি পূরণ হবে।

আতিকুর রহমান/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।