দিনাজপুরে আগুনে পুড়লো ৩ গরু
মাত্র ছয় শতাংশ জায়গায় তিনটি টিনের বাড়ি। এতে বাস করতেন নরেশ (৪২) আমল (৩৫) এবং জয় তির্গা (২২)। প্রতিদিনের মতো রাতের খাবার শেষে ঘুমিয়ে পড়েন নরেশের স্ত্রী শীতাবাল, ছেলে তুশার ও তাপস। হঠাৎ আগুন দেখে ছোট্ট শিশু তাপস কেঁদে ওঠে। তার চিৎকারে জেগে ওঠেন বাকিরাও। সন্তানদের নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে আসেন শীতাবালাসহ তিন বাড়ির বাসিন্দারা। কিন্তু আগুনে পুড়ে তিনটি বাড়ি ও তিনটি গরু।
বুধবার (৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে দিনাজপুর বিরামপুর উপজেলার চৌঘুরিয়া গ্রামে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এছাড়া রাতেই স্থানীয় প্রশাসন এসে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে শুকনো খাবার ও কিছু নগদ অর্থ সহায়তা দেয়।

শিশু তাপস বলে, রাতে শুয়েছিলাম, হঠাৎ টিনের ওপর আগুন দেখে চিৎকার শুরু করি। পরে বাবা-মা উঠে আমাদের বারান্দা থেকে নিয়ে যায়। অল্প সময়ের মধ্যে ঘর পুড়ে যায়। এছাড়া ঘরে থাকা শখের গুরুগুলো মারা যায়।
জানতে চাইলে শীতাবালা বলেন, আমি ঘুমিয়েছিলাম হঠাৎ আমার ছেলে বলছে ওঠ, আগুন লেগেছে। পরে প্রতিবেশী সেকেন্দারকে ডাকাডাকি করি। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগে সব পুড়ে গেছে।

প্রতিবেশী সুলতান আহম্মেদ বলেন, আগুনের লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ায় আমরা প্রতিবেশীরা অনেকটা অসহায় ছিলাম। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিদ্যুৎ বিভাগকে জানালে আগুন নেভানোর কাজে লেগে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইউনুস আলী জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যুৎ বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসকে আগুনের বিষয়টি জানাই। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিছু শুকনো খাবার ও নগদ অর্থ ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেওয়া হয়েছে।

বিরামপুর ফায়ার সার্ভিসের লিডার জহুরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। তিনটি পরিবারের প্রায় সাত লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে।
মো. মাহাবুর রহমান/এসজে/এএসএম