রংপুর মেডিকেলে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দিলেন গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক রংপুর
প্রকাশিত: ০২:৪৬ এএম, ২৩ মার্চ ২০২২
একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম দেন গৃহবধূ আশা

রংপুরে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আদুরী বেগম আশা নামে এক গৃহবধূ। মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন মেয়ে ও এক ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ওই চার নবজাতককে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

হাসপাতাল ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নাদিরা গ্রামের মনিরুজ্জামান বাঁধনের সঙ্গে আট বছর আগে বিয়ে হয় আদুরী বেগম আশার। দীর্ঘ সময়েও তাদের কোনো সন্তান হয়নি। পরে চিকিৎসা গ্রহণের একপর্যায়ে আদুরী বেগম অন্তঃসত্ত্বা হন। গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষায় দেখা যায়, তার গর্ভে চারটি সন্তান রয়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে রাত সাড়ে ৯টার দিকে চার সন্তানের জন্ম দেন আশা।

চার নবজাতকের বাবা মনিরুজ্জামান বাঁধন বলেন, গত ১ মার্চ আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে জানতে পারি যে, আমার স্ত্রী আশার গর্ভে একসঙ্গে চার সন্তান রয়েছে। সন্তান ডেলিভারির দিন এগিয়ে আসায় একমাস আগে আমি স্ত্রীকে নিয়ে রংপুরে বাড়ি ভাড়া নিই এবং চিকিৎসকের নিবিড় তত্ত্বাবধানে থাকি। তাদের পরামর্শে মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে স্ত্রীকে ভর্তি করা হয় এবং রাত ৯টা ৪০ মিনিটে আমার স্ত্রী একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন।

এদিকে, চার সন্তানকে দেখতে শিশু ওয়ার্ডে ভিড় জমিয়েছেন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগী এবং অভিভাবকরা। তাদের প্রত্যাশা, সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে উঠুক চারজন।

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার (গাইনি বিভাগ) ডা. ফারহানা ইয়াসমিন ইভা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গর্ভধারণের ৩২ সপ্তাহে চার নবজাতকের জন্ম হওয়ায় তিন কন্যাশিশুর ওজন ও গঠন ঠিক থাকলেও ছেলে নবজাতকটির ওজন মাত্র সোয়া কেজি। তবে চার নবজাতকই সুস্থ আছে। তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রসূতিকে পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

জিতু কবীর/এমআরআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।