ঠাকুরগাঁওয়ে হোটেল খুলতেই ইফতারি কেনার হিড়িক
আন্দোলনের সিদ্ধান্তে একদিন বন্ধ থাকার পর খুলেছে ঠাকুরগাঁওয়ের হোটেল-রেস্তোরাঁ। সাজানো হয়েছে ইফতারির পসরা। এসব খাবার কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। আবারো বন্ধের আশঙ্কায় প্রয়োজনের চেয়েও বাড়তি খাবার কিনে নিচ্ছেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) বিকেলে পৌর শহরের চৌরাস্তাসহ বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোরাঁর সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ইফতার কিনতে আসা শাওন চৌধুরী বলেন, ‘ইফতারের সংকটে পড়েছিলাম গতকাল। আজ একটু বেশি বেশি করে নিয়ে নিচ্ছি। কারণ কখন আবার বন্ধ ঘোষণা হয় কে জানে।’

রবিউল আওয়াল নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘আমরা আসলেই জিম্মি। গতকাল এত বেশি দুর্ভোগে পড়েছি যে আজ সবাই ছুটে এসেছি। এখন ইফতারি সংকটে পড়েছি আমরা। একেকজন দু-তিন কেজি করে বুন্দিয়া, আর ছোলা কিনছে।’
মিথিলা জয়া নামের এক ক্রেতা বলেন, ‘এটা যেন একটা মগের মুলুকে পরিণত হয়েছে। যারা বেশি বেশি ইফতার কিনছে তারা পাচ্ছে আর আমরা যারা কম কিনছি তারা সিরিয়ালে। দোকানদাররা শুধু বিক্রি করতেই পারলেই যেন বাঁচে। কেউ না পেলেও সমস্যা নাই তাদের। এতটা অনিয়ন্ত্রিত কেন বুঝি না।’
'
গোওসিয়া হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টের মালিক ওয়াসিম খান বলেন, আমরা সংসদ সদস্যের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করেছি। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ের মানুষ একদিন হোটেল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছিল। আজ বেচা কেনা অনেক ভালো। আমরা খাবারের মান ভালো দেওয়ার চেষ্টা করছি।
হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অতুল পাল জাগো নিউজকে বলেন, আর দোকান বন্ধ হওয়ার কোনো সমস্যা নাই। কারণ আমাদের সমস্যা সমাধানে সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন আশ্বাস দিয়েছেন। সুতরাং ক্রেতাদের অনুরোধ আপনারা পরিমিত ইফতার কিনুন।
তানভীর হাসান তানু/এসজে/জিকেএস