পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেলো সড়ক

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ১৩ মে ২০২২

টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় আনোয়ারপুর সড়ক প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এতে সুনামগঞ্জ জেলা সদরের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ।

শুক্রবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় পাহাড়ি ঢলের পানিতে সড়কটি ডুবে যায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা বৃষ্টিতে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে যাদুকাটা ও রক্তি নদীর পানি বেড়ে তাহিরপুরের আনোয়ারপুর বাজার ব্রিজের সামনের সড়কটি ডুবে যায়। এতে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তবে অনেককে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় করে ডুবন্ত সড়ক পার হয়ে সুনামগঞ্জে আসতে দেখা গেছে।

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেলো সড়ক

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা নুরু মিয়া বলেন, ‘টানা বৃষ্টিপাতে সীমান্তবর্তী যাদুকাটা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুরের যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। সুনামগঞ্জ সদরে যাওয়ার সময় রাস্থা ডুবে থাকায় তাহিরপুরে যেতে না পেরে ফিরে এসেছি।’

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেলো সড়ক

আনোয়ারপুর গ্রামের বাসিন্দা মনির মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানি আনোয়ারপুর সড়ক প্লাবিত হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন।’

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেলো সড়ক

তাহিরপুর উপজেলার বাসিন্দা আকমল আলী। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘সুনামগঞ্জের সদর হাসপাতালে আমার বড় আপু ভর্তি রয়েছেন। তাকে দেখার জন্য সুনামগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলাম। এখানে এসে দেখি ঢলের পানিতে সড়ক ডুবে গেছে। এখন বাড়তি টাকা খরচ করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় ডুবন্ত সড়ক পার হতে হবে আমাকে।’

পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেলো সড়ক

তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রায়হান কবির বলেন, টানা বৃষ্টিপাতে তাহিরপুর উপজেলার নদ-নদীর পানি বাড়ছে। সন্ধ্যায় আনোয়ারপুর সড়কটি প্লাবিত হয়ে সুনামগঞ্জের সঙ্গে তাহিরপুর যোগাযোগ বিছিন্ন রয়েছে।

লিপসন আহমেদ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।