পুনর্ভবা নদীর পানিতে প্লাবিত গোমস্তাপুরের ৩ হাজার বিঘা জমির ধান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৭:২৬ পিএম, ১৭ মে ২০২২
ভারত থেকে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর পানিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে তিন হাজার বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরে বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে প্রায় তিন হাজার বিঘা জমির ধান। পরিবার-পরিজন নিয়ে সামনের দিনগুলো কীভাবে সেই চিন্তায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন কৃষকরা।

মঙ্গলবার(১৭ মে) উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের আশপাশের বিলে খোঁজ নিয়ে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ভারত থেকে প্রবাহিত পুনর্ভবা নদীর পানি গত তিনদিন ধরে রাধানগর ইউনিয়নে ঢুকছে। এতে বিলেকুজাইন, ভাটখোর, রোকনপুরগঞ্জ মৌজার তিন হাজার বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

Water-3

রাধানগর ইউনিয়নের ধানচাষি আশরাফুল আলম জাগো নিউজকে বলেন, ‘তিনদিন আগে থেকে ভারত থেকে পুনর্ভবা নদীর পানি আমাদের বিলে ঢুকছে। তখন খুব একটা গুরুত্ব দেইনি। কিন্তু গতকাল থেকে আমার ২৫ বিঘাসহ প্রায় ৩-৪ বিঘা জমির ধান তলিয়ে গেছে। অনেক কষ্ট করে ধান রোপণ করেছিলাম। কিন্তু এক পুনর্ভবা নদীর পানি সব শেষ করে দিলো। এখন আমরা কী খাবো?’

রোকুনপুরগঞ্জের চাষি নাজমুল হুদা বলেন, ‘ওই বিলে আমার তিন বিঘা জমি বোরো ধানের জমি ছিল। ধানগুলো এবার খুব ভালো হয়েছিল। কিন্তু ভারত থেকে পানি এসে হঠাৎ সব ধান তলিয়ে দিয়েছে। শুধু আমার নয়, শত শত কৃষকের ধান এখন পানির নিচে।’

রাধানগর ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফুয়াদ আলী জানান, এবার রাধানগর ইউনিয়নের তিনটি মৌজায় প্রায়ই ১৬৭০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষাবাদ হয়েছিল। বর্তমানে ভারত থেকে আসা পানিতে আড়াই থেকে তিন হাজার বিঘা জমির ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

Water-3

এ বিষয়ে গোমস্তাপুর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ সরকার জাগো নিউজকে বলেন, ‘ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ার খবর শুনেই ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। পরবর্তীতে ক্ষতির পরিমাণ জানাতে পারবো।’

তিনি আরও বলেন, এই পানি না নামলে ধান কাটা সম্ভব নয়। এর আগে ২০১৭ সালে এ সময়ে ভারত থেকে পানি এসে ওই এলাকার কৃষকদের ধান ডুবে যায়।

সোহান মাহমুদ/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।