তিস্তা ব্যারেজ দিয়ে ভারী যান চলাচল বন্ধ


প্রকাশিত: ১০:২২ এএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৪

তিস্তা ব্যারেজের ওপর দিয়ে ভারী যান চলাচলে মেইন গেট বন্ধ করে দিয়েছে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। সোমবার রাত ১২টায় পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ লোহার পাইপ দিয়ে তিস্তার মূলগেটের সাথে ব্যারিকেড দিয়ে দেয়। যাতে ভারী যানচলাচল করতে না পারে।

শুধুমাত্র হালকা যান চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিস্তা ব্যারেজের ওপর দিয়ে সকল ধরনের ভারী যানবাহন চলাচলে জারি করা নিষেধাজ্ঞা মঙ্গলবার ভোর  থেকে কার্যকর হয়েছে।

উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তর লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী, দিনাজপুর ও বগুড়া জেলায় কৃষি কাজে সেচ দেয়ার উদ্দেশ্যে এ ব্যারেজটি নির্মাণ করা হয়। টোল আদায়ের নামে এই ব্যারেজের ওপর দিয়ে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে বুড়িমারী স্থলবন্দর যাতায়াতকারী ভারী যানবাহন ২৫ থেকে ৩৫ মেট্রিক টন পণ্য নিয়ে চলাচল করেছে। অথচ ব্যারেজের ধারণ ক্ষমতা ২০ মেট্রিকটন। ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্য নিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল করায় ব্যারেজ পড়েছে হুমকির মুখে। ব্যারেজের ৬টি অংশে দেখা দিয়েছে ফাটল।

ব্যারেজ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আতাউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, শষ্যভাণ্ডার হিসেবে গড়ে তুলতে তিস্তা সেচ প্রকল্প নির্মাণ করা হলেও যান চলাচলের কারণে ব্যারেজের মূল উদ্দেশ্য ভেস্তে যাচ্ছে। এ ব্যারেজ নষ্ট হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর জেলার কয়েক লাখ কৃষক। অবশেষে পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্যারেজ বাঁচাতে যে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে তা যেন দীর্ঘস্থায়ী হয়। এ নিষেধাজ্ঞাকে বাতিল করতে একটি মুনাফালোভী মহল পানি ভবনসহ মন্ত্রণালয়ে জোর তদবির শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবার রহমান জাগোনিউজকে জানান, ব্যারেজ বাঁচাতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ব্যারেজ না টিকলে এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতির চরম বিপর্যয় ঘটবে। হুমকির মুখে পড়বে ৬০ হাজার হেক্টর আবাদী জমি।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।