ঠাকুরগাঁওয়ে হেলমেট না পরায় মোটরশ্রমিককে আটকের চেষ্টা, সড়ক অবরোধ

ঠাকুরগাঁওয়ে হেলমেট না পরে মোটরসাইকেল চালানোর কারণে এক মোটরশ্রমিককে আটক করতে চাওয়ার জেরে সড়ক অবরোধের ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌর শহরের বালিয়াডাঙ্গী মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক সার্জেন্ট আলমগীর হোসেন বলেন, অভিযান চলছিল। আমরা আইনের কাজ করতে গাড়ি আটক করেছিলাম। এসময় ওই মোটরসাইকেল চালক টিআই মুনাজ্জেম স্যারকে ধরলে তার হাতে থাকা জরিমানা আদায়ের ‘ক্রস মেশিন’ পড়ে ভেঙে যায়। তারপর তো আমরা তাকে ছাড়তে পারি না। আটক করার পর শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
অভিযুক্ত হেলমেটবিহীন মোটসাইকেল চালক বিকাশ রায় বলেন, আমি বাসা থেকে মিলে যাচ্ছিলাম গাড়ি বের করতে। হেলমেট না থাকায় পুলিশ আটক করে। আমি তাদের কাছে ভুল স্বীকার করলেও তারা ছাড়েনি। পুলিশ বলছে, তাদের হাতে থাকা মেশিনটি আমার কারণে ভেঙেছে। পুলিশ মেশিন না সামলাতে পারলে আমার কী দোষ?
এদিকে, পুলিশ হেলমেট না পরা শ্রমিককে আটক করলে মোটরশ্রমিকরা প্রায় দুই ঘণ্টা ট্রাক্টর দিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। সৃষ্টি হয় কয়েক কিলোমিটারের যানজট।
এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশের কয়েকটি পিকআপ আসলে শ্রমিকরা আরও ক্ষুব্ধ হয়। তারা আটক শ্রমিককে ছেড়ে দিতে স্লোগান দিতে থাকেন। একপর্যায়ে উপস্থিত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে শ্রমিকদের ধস্তাধস্তি হয়। এসময় ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আন্দোলনরত শ্রমিকদের একজন বলেন, চারদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে আমরা অসহায় বোধ করছি। আমাদের আবেগটা তারা (পুলিশ) বোঝে না। জরিমানার টাকা আমরা কোথায় পাবো?
জেলার শ্রমিক নেতা সোহেল রানা বলেন, পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমরা সবাই মিলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি।
ওসি তানভীরুল ইসলাম বলেন, শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে শ্রমিকের গাড়ি আটক করা হয়েছিল। তার একজন পরিবারের সদস্য হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যে কারণে তিনি মেজাজ হারিয়েছিলেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
তানভীর হাসান তানু/এমআরআর/জেআইএম