জামালপুরে বন্যায় ডুবেছে ১০ গ্রামের বোরো ধান

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ১২:৩৯ পিএম, ২৫ মে ২০২২
ডুবে থাকা ধান কেটে নৌকায় তোলা হচ্ছে

আকস্মিক বন্যায় জামালপুরের মেলান্দহে ১০টি গ্রামের বোরো ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। ডুবে ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন তারা। তবে শ্রমিক ও ধান পরিবহনে বেড়ে খরচ।

উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্র জানায়, উপজেলার ঝাউগড়া, ঘোষেরপাড়া, কাপাসহাঁটিয়া, পূর্ব কাপাসহাটিয়া, শেখসাদি, টুপকারচর, ফকিরপাড়া, বেলতৈল, বাগবাড়ি, তালুকপাড়া ছাড়াও রৌমারী ও ইলশামারী বিলসহ ২০ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ঝাউগড়া ও ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নেই আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর ধান।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন আগে হঠাৎ করেই বন্যার পানিতে তলিয়ে যায় কৃষকের কষ্টার্জিত পাকা ও আধা পাকা ধান। এদিকে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। পাওয়া যাচ্ছে না নৌকা। তাই বেশিরভাগ ধান ক্ষেতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

jagonews24

উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের কাপাসহাঁটিয়া গ্রামের অসহায় কৃষক আমিনুল ইসলাম। তিনি এ বছর সাত বিঘা জমিতে বোরো বোরো চাষ করেন। ধানের ফলনও ভালো হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ পানিতে ডুবে গেছে পুরো ক্ষেত।

তিনি আমিনুল বলেন, ১ হাজার ৪০০ টাকা মজুরি দিয়ে শ্রমিক এবং ঘণ্টায় ১ হাজার ২০০ টাকার চুক্তিতে নৌকা ভাড়া নিয়ে দুই বিঘা জমির ধান কেটে রাস্তায় তুলেছি। বাকি ধান এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। এখন বাকি ধানগুলো কীভাবে কাটবো বুঝতে পারছি না।

তার মতো একই সমস্যা স্থানীয় কৃষক কোব্বাত শেখের। তিনি বলেন, ‘১২ বিঘার পাকা ও আধাপাকা ধান দুদিন ধরে পানিতে ডুবে আছে। ছয় বিঘার মতো কাটতে পারলেও বাকি জমির ধান শ্রমিক সংকট ও অতিরিক্ত মজুরির কারণে ঘরে তুলতে পারছি না।’

মেলান্দহ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন কয়েক ফিট করে পানি নেমে যাচ্ছে। এখন মাত্র ১০ একর জমির ধান কাটা বাকি রয়েছে।

মো. নাসিম উদ্দিন/এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।