কুয়াকাটা সৈকতে দেখা মিললো বিষধর ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেকের’

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
প্রকাশিত: ০২:২৭ পিএম, ১০ জুন ২০২২
এ সাপের পেটের রং হলুদ, দেহের উপরিভাগ কালো

পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেখা মিললো ‘ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক’ নামের বিষধর সাপের।

বুধবার (৮ জুন) সমুদ্র সৈকতের পূর্ব পাশে ট্যুরিজম পার্কের সামনে সাপটিকে দেখতে পান পর্যটকরা। পরে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সাপটির ছবি পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী পর্যটকদের বরাত দিয়ে কুয়াকাটা ট্যুরগাইড অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কে এম বাচ্চু জাগো নিউজকে বলেন, কুয়াকাটা বিচের পূর্ব পাশে ট্যুরিজম পার্কের সামনে ইয়েলো-বেলাইড সি স্নেক দেখতে পান পর্যটকরা। কিচ্ছুক্ষণ পরে সাপটি একা একা আবার সমুদ্রে ফিরে যায়।

বাচ্চু আরও বলেন, এটি এ সৈকতে প্রথম দেখা মিললো। তবে বেশ কয়েকবার কুয়াকাটা সৈকতের কাছাকাছি বিরল প্রজাতির সাপ, তিমি, কচ্ছপের দেখা মিলছে। এখন বিষয়টি নিয়ে আমরা সন্দিহান যে সমুদ্রের গতিপথ কিংবা জলবায়ু পরিবর্তনের কোনো প্রভাব পড়েছে কি না।

jagonews24

পটুয়াখালী জেলা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল-মামুন জাগো নিউজকে বলেন, এ সাপের পেটের রং হলুদ। দেহের উপরিভাগ কালো। এরা থাকে সমুদ্রে। এর ইংরেজি নাম ইয়েলো বেলাইড সি স্নেক। আর বৈজ্ঞানিক নাম নাম বিভিজি পেলামিস প্লাচুরা। এরা হাইড্রোফিদা পরিবারভুক্ত।

তিনি আরও বলেন, গভীর সমুদ্রে বসবাস করা এ সাপ তীরবর্তী এলাকায় খুব কম দেখা মিলে। এটি অত্যন্ত বিষধর সাপ। যদি কাউকে আঘাত করে সঙ্গে সঙ্গেই মারা যেতে পারে। হাসপাতাল পর্যন্ত নেওয়ার সময় দেয় না। এদের অ্যান্টিবায়োটিক এখনো বাংলাদেশে তৈরি হয়নি।’

বন কর্মকর্তা বলেন, ‘এদের আটলান্টিক মহাসাগর ছাড়া সারা বিশ্বের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় মহাসাগরীয় জলে পাওয়া যায়। সাধারণত এরা প্রশান্ত ও ভারত সাগরের গ্রীষ্মমণ্ডলীয় অঞ্চলে বসবাস করে। উপকূলের চেয়ে গভীর সমুদ্রই এদের বেশি পছন্দ। গত বছরের জুন মাসে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে এ সাপের দেখা মিলেছে।’

আসাদুজ্জামান মিরাজ/এসজে/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।