পদ্মায় দুই ফেরির সংঘর্ষ: খোঁজ মিলছে না গাড়িচালক শামীম মোল্লার
পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-মাজিরকান্দি নৌরুটে দুই ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় খোঁজ মিলছে না ফেরি বেগম রোকেয়ায় থাকা শামীম মোল্লা (৪০) নামের এক গাড়িচালকের।
নিখোঁজ শামীম ঢাকার লালবাগ এলাকার বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সিগঞ্জ সদরের নগরকসবা এলাকায়।
শনিবার (১৮ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিমুলিয়া-মাজিরকান্দি নৌরুটে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে টার্নিং পয়েন্টে ফেরি বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামালের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে নিখোঁজ গাড়িচালক শামীম মোল্লা।
নিখোঁজ শামীমের শ্যালক আলী আনসার জাগো নিউজকে জানান, মালামাল পৌঁছে দিতে ঢাকা থেকে ফরিদপুর যাচ্ছিলেন শামীম। মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে নদী পারাপারের জন্য তিনি গাড়ি নিয়ে ফেরি বেগম রোকেয়ায় ওঠেন। দুর্ঘটনার পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। শামীমের চার ছেলেমেয়ে রয়েছে।
প্রতক্ষ্যদর্শী ও বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, ৩০টি যানবাহন নিয়ে শরীয়তপুরের মাঝিরকান্দি থেকে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে আসছিল ফেরি সুফিয়া কামাল। একই নৌপথে ৩৪টি যানবাহন ও অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে মাজিরকান্দির অভিমুখে যাচ্ছিল ফেরি বেগম রোকেয়া। ফেরি দুটি পদ্মা নদীর টার্নিং পয়েন্ট জাজিরা প্রান্তে পৌঁছালে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরিতে থাকা গাড়িতে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই খোকন শিকদার (৪০) নামের এক গাড়িচালক মারা যান। নিহত খোকন ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া চিংবাখালী এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে।
এ ঘটনায় একজন নিখোঁজসহ আহত হন অন্তত ১০ জন। পরবর্তী সময়ে সুফিয়া কামাল শিমুলিয়াঘাটে ও বেগম রোকেয়া মাজিরকান্দিঘাটে পৌঁছে নোঙর করে। মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এদিকে এ ঘটনায় চার সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি)। বিআইডব্লিউটিসির ডিজিএম (মেরিন) একে এম শাহাজাহানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
অন্য তিন সদস্য হলেন সংস্থাটির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, শিমুলিয়াঘাটের এজিএম (মেরিন) আহমেদ আলী, মাজিরকান্দিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/এসআর/জেআইএম