নেত্রকোনার ছোট-বড় সব নদীর পানি কমছে

নেত্রকোনার ছোট-বড় সব নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে উব্দাখালি নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ও ধনু নদের খালিয়াজুরি পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভোগান্তি বাড়ছে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালত, বহুতল ভবন ও সাইক্লোন শেল্টারে এখনো হাজার হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। পানি কমতে শুরু করলেও এখনো বানভাসি মানুষ বাড়ি ফিরতে পারছেন না। আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনা খাবারের পাশাপাশি খিচুরি রান্না করে দেওয়া হচ্ছে।
কলমাকান্দা উপজেলার নক্তিপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম বলেন, অনেক ঘরবাড়ি থেকে পানি নামছে। দুদিন ধরে বিদ্যুৎ আছে। এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
কলমাকান্দার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবুল হাসেম বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সার্বক্ষণিক নজরে রাখা হচ্ছে। ত্রাণসহ সবধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে ভানবাসি মানুষের জন্য।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্যা কবলিত ৭৫ ইউনিয়নে বেশকিছু মানুষ বাড়ি ফিরেছেন। তবে জেলার ৩৪২ আশ্রয়কেন্দ্রে ৪৫ হাজার ৩৮০ জন পুরুষ, ৪৯ হাজার ৭১১ জন নারী, ১৮ হাজার ৯৮৮ জন শিশু ও ৭৩৯ জন প্রতিবন্ধীসহ ২০ হাজার গবাদিপশু রয়েছে অবস্থান করছে। পানিবন্দি রয়েছে আরও অন্তত ১২ লাখ মানুষ। গত শনিবার থেকে গত মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত দুর্গাপুর, কলমাকান্দায়, মোহনগঞ্জ, মদন ও কেন্দুয়ায় পাঁচজনের প্রাণহানি ঘটেছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ত্রাণের কোনো সংকট নেই। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি ও ব্যক্তি উদ্যোগেও ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ২১২ টন চাল, পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি এলাকার বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। এ মুহূর্তে সবার কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। যে যেখানে সমস্যায় আছেন তাকে সহযোগিতা করুন অথবা প্রশাসনকে জানান।
এইচ এম কামাল/আরএইচ/জিকেএস