দুই অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির দ্বন্দ্ব, ভোগান্তিতে রোগীরা

অ্যাম্বুলেন্স বাণিজ্যের কারণে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন বরগুনার রোগী ও তাদের স্বজনরা। বরিশাল থেকে কোনো রোগী বরগুনার অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রা করলে পথে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। পরে বাধ্য হয়ে বরিশাল মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত অ্যাম্বুলেন্সে বরগুনা যেতে বাধ্য হয় তাদের।
সম্প্রতি বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে বরগুনা জেলা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি। এতে হয়রানী বন্ধ না হয়ে উল্টো বেড়েছে। তাদের অভিযোগ, বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের নেতৃত্বে দপদপিয়া ব্রিজের টোল প্লাজায় অবস্থান নেন কিছু লোক। যারা অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে তল্লাশি চালান। বরগুনার অ্যাম্বুলেন্স রোগী বহন করলে তাদের নামিয়ে দেওয়া হয় সেখানে। অ্যাম্বুলেন্স চালককেও নানাভাবে হয়রানী করা হয়।
বরগুনার একাধিক অ্যাম্বুলেন্সচালক জানান, ১৭ জুন (শুক্রবার) বিকেলে মো. ফরিদ নামের এক চালক রোগীসহ বরগুনার একটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বরগুনার দিকে যাচ্ছিলেন। তাকে দবদবিয়া ব্রিজের টোল প্লাজায় বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ আলম ও তার লোকজন নামিয়ে দেন। এতে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে আসা রোগীরা অসহায় হয়ে পরছে।
রাজিবুল হাসান নামের রোগীর এক স্বজন জানান, চাচা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে বরিশাল নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হলেও অ্যাম্বুলেন্স চালকরা ৫-৬ হাজার টাকা বেশি দাবি করে। যা দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে নেওয়া সম্ভাবনা তাই বিকল্প খুঁজছেন তারা।
বরগুনা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক লিটন জাগো নিউজকে জানান, বরিশাল রোগী নেওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্স খালি আসার কারণে বেশি টাকায় বরিশাল যেতে হয়। তাই বরিশালে রোগী নেওয়ার পর চেষ্টা করি সেখান থেকে রোগী নিয়ে ফিরতে। কিন্তু বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতি সেটি করতে দেন না। পথে রোগীদের নামিয়ে চালকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির সভাপতি ফিরোজ আলম জানান, বরিশাল ও বরগুনা অ্যাম্বুলেন্স মালিক সমিতির মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব চলমান। বরিশালের অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে বরগুনা যেতে পারবে কিন্তু সেখান থেকে রোগী নিয়ে আসতে পারবে না। একইভাবে বরগুনার অ্যাম্বুলেন্স রোগী নিয়ে বরিশাল যেতে পারবে কিন্তু রোগী নিয়ে ফেরত যেতে পারবে না। এমন নিয়ম থাকলেও বরগুনা মালিক সমিতি সেটি মানছে না। তাই বরিশাল থেকে রোগী নিতে তাদের বাঁধা দেওয়া হচ্ছে।
এম এ আজীম/আরএইচ/জিকেএস