ভেঙে ভেঙে পদ্মা সেতু পার হতে হবে ফরিদপুরের যাত্রীদের

ফরিদপুর থেকে ভেঙে ভেঙে পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকায় যেতে হবে যাত্রীদের। ফরিদপুর-মুন্সিগঞ্জ সড়কে যানবাহন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হবে তাদের। তবে এ রুটে বাস চলাচল করলে দেড় ঘণ্টা সময় বাঁচবে যাত্রীদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, পদ্মা সেতু হয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৩ রুটে বিআরটিসির বাস চলাচল করবে। এসব রুটের মধ্যে ফরিদপুরের নাম নেই। জেলার ভাঙ্গা উপজেলাতেও কোনো বাস টার্মিনাল নেই। ফলে ঢাকাগামী ফরিদপুরের যাত্রীদের ভেঙে ভেঙে চলাচল আসতে হবে। এ রুটে বাস না থাকলেও মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারে করে যাতায়াত করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আশির দশকের শুরুতে ফরিদপুর-ঢাকা রুটে সরাসরি বাস চলাচল শুরু হয়। এর আগে ঢাকামুখী যাত্রীদের একমাত্র ভরসা আরিচা রুটের লোকাল বাস কিংবা ফরিদপুরের সিঅ্যান্ডবি ঘাট থেকে লঞ্চ। নব্বইয়ের দশকের আগে ফরিদপুর-ঢাকার লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এরপর বাসই একমাত্র বাহন হয়ে উঠে। শুরুর দিকে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টা সময় লাগলেও সাম্প্রতিককালে যানজট ও অন্যান্য কারণে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন এখন মাওয়ামুখী।
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক গ্রুপের সদস্য রাজিব হাসান সুজন জাগো নিউজকে জানান, ভোরে সূর্যমুখীর পরবিহনের ফরিদপুর থেকে ছেড়ে ঢাকার গাবতলীতে পৌঁছায় সাড়ে ৩ ঘণ্টার মধ্যে। বিকেলে একই পরিবহন সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ফরিদপুরে পৌঁছে। এর আগে এ রুটে ৪-৫ ঘণ্টা সময় লাগতো।
ফরিদপুরের গোল্ডেন লাইন পরিবহনের গাবতলীর কাউন্টার মাস্টার তৌহিদ খান জাগো নিউজকে বলেন, আমাদের পরিবহন ঢাকা থেকে ছেড়ে ফরিদপুরে পৌঁছাতে সময় লেগেছে সোয়া ৩ ঘণ্টার মতো। ঢাকা হতে মানিকগঞ্জ পর্যন্ত মহাসড়কে ফোরলেনের কাজ চলছে। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে যানজট কমে আসায় সময় কম লাগছে।
তিনি আরও জানান, ফরিদপুরের পরিবহন মালিকরা এখনও পদ্মা সেতু হয়ে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নেননি। পদ্মা সেতুর টোল দিয়ে যাত্রী পরিবহন করতে গেলে লাভ কম হবে। ফলে আগের রুটেই আমরা বাস চালু রাখবো।
ফরিদপুর জেলা মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি এসএম শাহ্ আলম মুকুল জাগো নিউজকে বলেন, পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হলেও ফরিদপুর থেকে আমরা কোনো বাস চলাচল চালু করছি না। এখন চালু করে দুদিন পর বন্ধ করে দিলেতো হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ রুটে ফরিদপুরের যাত্রী তেমন নেই। দিয়ে ভাঙ্গা হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গাড়িতে করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। আমাদের পাটুরিয়া হয়ে একটা পথ রয়েছে। এ জন্য এখনই লসে যেতে চাচ্ছি না।
ফরিদপুর জেলা বাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সিদ্দিকী কামরুল বলেন, ফরিদপুর-পদ্মা সেতু-ঢাকা রুটে বাস চলাচলে খরচ বেশি পড়বে। পথে পথে সড়ক ও সেতুর টোল দিতে হবে। এ রুটে বাস কোথা থেকে যাত্রী তুলবে কোথায় নামাবে সেগুলো পরিষ্কার নয়। এ রুটে ফরিদপুরের পরিবহনগুলোর কোনো কাউন্টার নাই। এসব কারণে এখন এ রুটে বাস চালু হচ্ছে না।
এন কে বি নয়ন/আরএইচ/জিকেএস