ঘাটে মুড়ি বেচে সংসার চলে খলিলের
মো. খলিলুর রহমান। পেশায় একজন মুড়ি বিক্রেতা। দীর্ঘদিন ধরেই বাহাদুরাবাদ-বালাসী খেয়াঘাটে মুড়ি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারে সদস্য সংখ্যা ছয়জন। এ ব্যবসার ওপরেই তাদের নির্ভর করতে হয়। ঈদ এলেই খলিলের বেচাবিক্রি বেড়ে যায়। এ সময় কথা বলারও সময় পান না তিনি।
খলিলুর রহমান জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বেপারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার মৃত সোনা বাদশার ছেলে। নিজের বলতে কিছুই নেই তার। মুড়ি বিক্রি একমাত্র ভরসা তার।
এ বিষয়ে খলিলুর রহমান জানান, সংসারে তিন মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। তাদের মানুষ করাই একমাত্র লক্ষ্য। আগে ঢাকায় চাকরি করলেও সাত বছর ধরে এখানে মুড়ি বিক্রি করি। দীর্ঘদিন করোনায় ব্যবসা ভালো না হলেও ঈদে বেচাবিক্রি ভালো হয়। তিনি মুড়ি, পেয়ারা, আনারস ভর্তাসহ নানারকম মুখরোচক খাবার বিক্রি করি। এ সময় দৈনিক ১৫০০-১৬০০ টাকা বিক্রি হয়।
তিনি বলেন, এ রুটে গাইবান্দা, দিনাজপুর, বগুড়া, পঞ্চগড়, রংপুর, ঠাকুরগাঁওসহ উত্তরবঙ্গের ১০-১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। এদের ঘিরেই আমার এ ব্যবসা।

কথা হয় বগুড়াগামী সাজেদুর রহমানের সঙ্গে। তিনি ঢাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। এ রুটে তিনি প্রথম আসছেন। ঢাকা থেকে সকালে রওনা দিয়ে ঝামেলামুক্তভাবে ঘাটে এসে পৌঁছাই। ঘাটে খলিলুরের মুড়ি মাখা খাই। ১০ টাকার মুড়ি মাখায় তিনি নানারকম মসল্লা ব্যবহার করেন।
মুড়ি খেতে খেতে কথা হয় রাকিবুল ইসলাম নামে একজনের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর মুড়ি খেলাম, খুব ভালো লেগেছে।
বাহাদুরাবাদ-বালাসী খেয়াঘাটের ইজারাদার মো. নয়া মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের এ মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ হাজার যাত্রী পারাপার হয়। এদের ঘিরে এ এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্য জমে উঠেছে। অনেকে প্রতিদিন মুড়ি বিক্রি করে ৭০০-৮০০ টাকা রোজগার করছেন।
মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/এমএস