নৌকাবাইচ দেখতে ঝিনাই নদীর দুই পাড়ে মানুষের ভিড়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি জামালপুর
প্রকাশিত: ০৯:২২ পিএম, ১৩ জুলাই ২০২২
নৌকাবাইচ দেখতে মানুষের ভিড়

জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতা দেখতে নদীর দুই পাড়ে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে।

বুধবার (১৩ জুলাই) বিকালে শহরের চরবালিয়া এলাকার ঝিনাই নদীতে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার হিসেবে গরু উপহার দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এ নদীতে নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনকে ঘিরে এলাকাবাসীর মাঝে বাড়তি আনন্দ বয়ে যায়। করোনার কারণে গত দুই বছর এ প্রতিযোগিতা বন্ধ থাকলে এ বছর বিপুল উৎসাহে শুরু হয়েছে এটি।

নৌকাবাইচ দেখতে এসেছিলেন স্থানীয় জবান আলী নামে এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, বালিয়া ব্রিজপাড়ে প্রতিবছর এ খেলার আয়োজন করা হয়। এটি দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। আমি নিজেও খেলা দেখতে এসে মোবাইল দিয়ে দৃশ্য ধারণ করছি প্রবাসী এক ভাইকে দেখাবো বলে।

কথা হয় নৌকাবাইচ দেখতে আসা সুজন নামে আরও এক ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, প্রতি বছর ঝিনাই নদীতে নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতা হয় হয়। এখানে ২০-৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়ে থাকলেও এ বছর প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে।

স্থানীয় শিক্ষার্থী নাঈম, নাইছ, নূরনবীসহ আরও অনেকে জাগো নিউজকে বলেন, নৌকাবাইচ একটি অসম্ভব জনপ্রিয় খেলা। গ্রাম বাংলায় এ খেলার জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। পৃথিবীর অনেক দেশেই এর প্রচলন রয়েছে।

নৌকাবাইচ দেখতে মেলান্দহ উপজেলা থেকে আবু তালেব নামে এক দর্শনার্থী এসেছেন। তিনি বলেন, নৌকাবাইচ গ্রাম বাংলার একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। প্রতি বছর এ খেলাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আমি এ খেলার একজন অন্ধ ভক্ত।

আয়োজক কমিটির সদস্য সানোয়ার হোসেন পারভেজ বলেন, চর বালিয়া ও বলারদিয়ার গ্রামবাসীর উদ্যোগে প্রতিবছর এ নৌকাবাইচের আয়োজন করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে দুই বছর এ আয়োজনের ভাটা পড়ে। তবে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এ বছর এটি আয়োজন করা হয়। এ আয়োজনে ইসলামপুর, মেলান্দহ, ময়মনসিংহ থেকে ১০-১৫টি নৌকা অংশগ্রহণ করে।

মো. নাসিম উদ্দিন/আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।