এক সেতুতে পাল্টে যাবে কালীগঞ্জ শহরের চিত্র
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্রে চিত্রা নদীর ওপর নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে শহরের চিত্র। এর ফলে যানজট নিরসনসহ শহরের সঙ্গে আশপাশের এলাকার যোগাযোগ সহজ হবে। এই সেতু কালীগঞ্জ শহরসহ আশপাশের এলাকার অর্থনৈতিক চিত্র বদলে দেবে বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৬২ মিটার দৈর্ঘ্যের সেতুটির নির্মাণকাজে ব্যয় হবে ১৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮ হাজার ৮৬১ টাকা। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) কাজের উদ্বোধন করেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার। সেতুটির মাঝ দিয়ে যানবাহন এবং তার দুপাশ দিয়ে পথচারী এবং রিকশা ও ভ্যান চলাচলের ব্যবস্থা থাকবে।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঢাকার কনসিক অ্যান্ড বিল্ড লিমিটেডের কর্মকর্তা লিটন খান বলেন, টঙ্গী-কামারপাড়া সেতুর আদলেই এখানে আধুনিক সেতু নির্মাণ করা হবে। বর্তমানে চিত্রা নদী পার হতে যে সেতুটি রয়েছে তা অত্যন্ত সরু। এর ফলে প্রায়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজট লেগে থাকে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয় স্কুলগামী কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তবে সেতুটির নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি মিলবে। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগবে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ উপজেলায়।
কালীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ জানান, শহরের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীতে সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হলে কালীগঞ্জ শহরের অর্থনীতির চিত্র পাল্টে যাবে।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজ বলেন, পুরাতন সেতুটি চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুটি অত্যন্ত সরু হওয়ায় যাতায়াতে বেশ বিঘ্ন ঘটে। আশা করছি, নতুন সেতুর কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই সেতুটির কাজ সম্পন্ন হবে।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার বলেন, এ সেতুটির নির্মাণ শেষ হলে কালীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক সৃষ্টি হবে। অর্থনৈতিক কাজে গতি আসবে। ফলে পাল্টে যাবে শহরের সার্বিক চিত্র। সেইসঙ্গে এই নদী পুঃখনন করা হবে। শহরের মধ্যে নদীর অংশে দুপাশ বাধিয়ে দৃষ্টিনন্দন করা হবে। ফলে শহরে বাসিন্দারা চিত্তবিনোদনের সুযোগ পাবেন।
আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এমআরআর/এএসএম